ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো ১০টি সাবান-স্থায়ীভাবে ফর্সা হবে
ফর্সা হওয়ার জন্য কোন সাবান ব্যবহার করবেন বুঝতে পারছেন না। তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান কোনটি, ফর্সা সাবান তৈরীর নিয়ম, কোন সাবান আপনার হাত-পা, পুরো শরীর ফর্সা করবে, ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি সাবান সবকিছুর বিষয়ে জানতে পারবেন।

পেজ সূচিপত্রঃ ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান
ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান
ত্বককে সুন্দর ফর্সা করতে আমরা নানান ধরনের সাবান ব্যবহার করে থাকি আমাদের ত্বকে।
কিন্তু সব সাবান কি ভালো এবং আমাদের মুখের জন্য কি সব সাবান উপযুক্ত। মোটেও না,
সবার ত্বক একরকম নয়। তাই আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে আপনার ত্বক অনুযায়ী কোন সাবান
টা ব্যবহার করতে হবে। যে ফর্সা হওয়ার সাবান আপনার ত্বকের জন্য ভালো হবে আপনার
ত্বককে ভালো রাখবে সেই সাবানটাই হচ্ছে ফর্সা হওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো সাবান
আপনার ত্বকের জন্য।
সাবান নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এটি দেখা উচিত চেক সাবানের উপাদান গুলো
আপনার ত্বকের জন্য ভালো কিনা। বাজারে বিভিন্ন ধরনের সাবান রয়েছে যেগুলো
ক্ষতিকারক উপাদান দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে ত্বক ফর্সা করার জন্য, যা আপনার ত্বকের
ক্ষতি করবে। তো চলুন জেনে নিন কিছু ন্যাচারাল উপাদান দিয়ে তৈরি সাবানের নাম
যেগুলো আপনার ত্বককে ফর্সা করতে সাহায্য করবে ।
- মাইসোর স্যান্ডেল সাবান
- কোজিকেয়ার সাবান
- ফিওরায় হোয়াইটনিং সাবান
- সাফরান গোট মিল্ক সাবান
- পিয়ার্স সাবান
এ সমস্ত সাবান গুলোতে রয়েছে ত্বক ফর্সাকারী উপাদান যেগুলো আপনার ত্বককে ফর্সা
করবে।
হাত-পা ফর্সা করার সাবান
আপনার হাতে পায়ে কালো দাগ অথবা ছোপ ছোপ দাগগুলো কিভাবে দূর করবেন বুঝতে পারছেন
না। অনেকের হাতের তুলনায় পা কালো থাকে পায়ের তুলনায় হাত এমন কি মুখে তুলনার
হাত পা কালো হয়ে থাকে যা দেখতে বড়ই অস্বস্তিকর। এমন বিরক্তিকর পরিস্থিতি
এড়াতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন হাত পা ফর্সা করার সাবান। আমাদের দেশে বেশ
পরিচিত এবং জনপ্রিয় কিছু সাবান রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করে আপনি দাগগুলো খুব
সহজে দূর করতে পারেন। কোন সাবান ব্যবহার করে আপনি কোন হাত পায়ের দাগ দূর করে
হাত পা কে ফর্সা করতে পারবেন।
FIORAE whitening soap বেশ জনপ্রিয় একটি সাবান। এ জনপ্রিয়তার মূল কারণ হচ্ছে
এটি খুব সহজে যে কোন দাগ দূর করতে পারে হাত পা থেকে। এসব অঞ্চলে বিশেষত্ব হচ্ছে
এইসব আন্টি ছেলে মেয়ে উভয়ই ব্যবহার করতে পারবে। এ সাবানটি পাপায়া অর্থাৎ
পেঁপে দিয়ে তৈরি তাই এ সাবানের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও নেই।
এ সাবানের বিদ্যমান কজিক এসিড ও গোটা নিয়ন আপনার হাতে পায়ের ত্বককে ফর্সা
করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এ সাবানে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৩ ও ভিটামিন
ই যা আপনার ত্বকের বিদ্যমান দাগ দূর করতে সাহায্য করে এবং উজ্জ্বলতা ধরে রাখে।
তাই আপনি আপনার হাতে পায়ের ত্বকে দাগ দূর করতে FIORAE whitening soap ব্যবহার
করতে পারেন।
পুরো শরীর ফর্সা হওয়ার সাবান
অনেকে আছে যাদের পুরো শরীরে কিছু অংশ সাদা থাকে কিছু অংশ ট্যান হয়ে কালো বা
রোদের পুড়ে যায়। এই সমস্ত দাগ প্রচুর জেদি হয়ে থাকে। এরকম সমস্যা দূর করতে
আপনি ব্যবহার করতে পারেন পুরো শরীর ফর্সা হওয়ার সাবান। হ্যাঁ, অনেকে হয়তো
জানে না যে পুরো শরীর ফর্সা হওয়ার জন্য সাবান রয়েছে।এ সাবানগুলো এতটাই
কার্যকরী যে আপনার শরীরে এটি নিয়ম মত ব্যবহার করলে এ সমস্ত দাগ ছোপ সব দূর
হয়ে যেতে পারে।
এমন একটি পাওয়ারফুল এবং কার্যকরী সাবান হচ্ছে power laser light girl soap। এই
সাবান দিয়ে যদি আপনি সপ্তাহে তিন দিন গোসলের সময় ব্যবহার করতে পারেন তাহলে
তিন মাসের মধ্যে আপনার শরীরের রংয়ের পার্থক্য বুঝতে পারবেন। বাজারে নানান
ধরনের সাবান ব্যবহার করে শরীরের ক্ষতি হতে পারে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু
এই সাবান ব্যবহার করলে আপনার শরীরে তেমন কোন খারাপ প্রভাব পড়বে না এবং আপনার
ত্বকেরও কোন ক্ষতি হবে না।
তবে অনেকের এলার্জির সমস্যা থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এলার্জি সমস্যা
থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ অথবা এলার্জি পরীক্ষা করার পর ব্যবহার করতে পারবে। এ
সাবানের অনেক ভালো রিভিউ এবং ফিডব্যাক রয়েছে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল ও সোশ্যাল
মিডিয়া মাধ্যমগুলোতে। সে ক্ষেত্রে আপনার মনে যদি কোন সংশয় থেকে থাকে এই
সাবানকে নিয়ে তাহলে আপনি ইউটিউব অথবা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে
গিয়ে ফিডব্যাক গুলো যাচাই করে দেখতে পারেন।
তবে সাবান ব্যবহারের সময় কোন সমস্যা বা সাইড ইফেক্ট দেখা দিলে অবশ্যই সেটা
ব্যবহার বন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার সাবান
অনেকের গায়ের বর্ণ শ্যাম বা কালো হয়ে থাকে, এই জন্য অনেকে চাই স্থায়ীভাবে
ফর্সা হতে। বাজারের নানান ধরনের সাবান রয়েছে যেগুলো স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার
প্রতিশ্রুতি দেয়া থাকে কিন্তু সেগুলো কোনই কাজে আসে না। এছাড়াও কিছু কিছু
সাবান রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে ত্বকে দেখা দেয় তারা সমস্যা হতে পারে সাইড
ইফেক্ট।
আরো পড়ুনঃ লাল জবা ফুলের উপকারিতা ও ব্যবহার জানুন
বর্তমানে বাংলাদেশের বেশ কিছু ফর্সা হওয়ার সাবান রয়েছে যেগুলো দীর্ঘসময়ের
ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এ সমস্ত সাবান
বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ব্যবহারকারীদের মাঝে। আপনি যদি আপনার ত্বকে ফর্সা
করতে চান স্থায়ীভাবে তাহলে এই সমস্ত সাবান ব্যবহার করতে পারেন।
এই সমস্ত সাবানের জনপ্রিয়তা হওয়ার মূল কারণই হচ্ছে এগুলোর কোন সাইড ইফেক্ট
দেখায় নাএবং এগুলো কাজও খুব ভালো করে থাকে। তাহলে চলুন জেনে নিন আপনার
ত্বক ফর্সা করতে পারবে স্থায়ীভাবে কোন সাবান গুলো।
- Light girl soap
- Fiorae whitening soap
- Kojic acid soap
- Glutathione soap
- Pears pure & gentle soap
- Likas papaya soap
- Belo essentials whitening soap
- Synaa papaya soap
- Vaadi herbals saffron soap
- Lotus herbals white glow soap
- Fair & lovely glow soap
ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি সাবান
কালো থেকে ফর্সা হতে চাচ্ছেন কিন্তু কোন সাবান ব্যবহার করবেন বুঝতে পারছেন না,
এমন সমস্যা অনেকের। বর্তমানে বাজারে নানান ধরনের সাবান রয়েছে যেগুলো ব্যবহার
করলে ত্বকের ক্ষতি হয়ে থাকে। মূলত এই ভয়ের কারণে মানুষ যে কোনো সাবান ত্বকে
ব্যবহার করতে ভয় পায়। এছাড়াও ত্বকের ভিন্নতার কারণে সব ধরনের সাবান সবার
ত্বকের জন্য ভালো ফলাফল দিতে পারেনা।
যেকোনো প্রোডাক্ট ব্যবহারের পরে ত্বকের নানান সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণ হচ্ছে
সে প্রডাক্টগুলো ব্যবহারের পূর্বে যাচাই করে না ব্যবহার করা। যেকোনো সাবান
ত্বকে ব্যবহার করলে বেড়ে যেতে পারে ত্বকের সমস্যা। তাই আপনি চাইলে ব্যবহার
করতে পারেন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সাবান। হ্যাঁ, আপনার কালো ত্বককে ফর্সা
করতে ফর্সা হওয়ার জন্য রয়েছে ডাক্তারি সাবান।
এই সাবান গুলো মূলত ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকে ব্যবহারের জন্য। তাই এটি
ব্যবহারে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এমন একটি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী
সাবান হচ্ছে KOZICARE সাবান।এ সাবান যে আপনি ব্যবহার করলে এটি আপনার ত্বককে
উজ্জ্বল মসৃণ ও তেল মুক্ত করবে। এছাড়া এ সাবান নিতে রয়েছে কজিক অ্যাসিড,
গ্লোথানিওন, আরবুটিন এর মতো উপাদান।
কজিক অ্যাসিড ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে এবং গ্লুটাথানিওন ত্বকের
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আরবুটিন ত্বকের বয়সের ছাপ
কওয়াতে সাহায্য করে।KOZICARE সাবানে রয়েছে ভিটামিন সি ও ই যা আপনার ত্বককে
ভিতর থেকে দাগ দূর করতে সাহায্য করে এবং তাকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
এই সাবানের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই এবং এটি ব্যবহার করলে কিছুদিনের মধ্যে
আপনি খুব ভালো ফলাফল পাবেন। এসবই মূলত ইন্ডিয়ার একটি প্রোডাক্ট এবং এটি একটি
খুবই গুনাগুন সম্পূর্ণ সাবান ত্বকের জন্য।এই সাবানটি আপনার ত্বককে ভালো রাখতে
খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ফর্সা হওয়ার সাবানের নাম
ফর্সা উজ্জ্বল দাগমুক্ত ত্বক পাওয়ার জন্য আমরা কত কিনা করে থাকি। অনেকে বিভিন্ন
রেমেডি ও ফেসপ্যাক ইত্যাদি ব্যবহার করেন। কিন্তু ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য
সবথেকে জরুরি হচ্ছে ত্বককে পরিষ্কার রাখা এবং ত্বকে প্রতিনিয়ত ক্লিন করা। কেননা
বেশিরভাগ ত্বকের সমস্যা এবং ত্বক কালো হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা তৈরি হয় ত্বকের
ময়লা জমে এবং ত্বক ভালো করে পরিষ্কার না রাখার জন্য। এজন্য আপনার প্রয়োজন
এমন একটি সাবান যেটি আপনার ত্বকে পরিষ্কার করবে এবং ত্বকে করবে ফর্সা ও
লাবণ্যময়।
ত্বকের যত্নে এবং ত্বককে ভালো রাখতে ত্বক পরিষ্কার করা প্রডাক্ট বাছাই করা হচ্ছে
সবথেকে বড় কাজ। তাই এই কাজকে সহজ করতে আজকে আপনাদেরকে জানাতে চলেছি এমন দশটি
ফর্সা হওয়ার সাবান যেটা ব্যবহার করে আপনি পেতে পারেন ফর্সা ত্বক। এমন অনেক মানুষ
রয়েছে যারা ত্বকের ক্ষতি হওয়ার ভয়ে কোন জিনিস তাদের ত্বকে ব্যবহার করতে
দ্বিধাবোধ করে।
কিন্তু আজকে যে সাবান গুলোর বিষয়ে আপনাদেরকে বলব সে সাবান গুলো যদি
আপনি ব্যবহার করেন ফলাফল তো পাবেনই সেই সাথে কিন্তু এর কোন পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া নেই। এই সমস্ত সাবান গুলো রয়েছে ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রচুর
জনপ্রিয়তা। তো চলুন জেনে নিন ফর্সা হওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো ১০টি সাবানের
নাম।
১। Kozicare soap
২। Fiorae whitening soap
৩। Black soap
৪। Saffron goat milk soap
৫। Pears soap
৬। Goat soap
৭। Mysore sandal soap
৮। Kojie san skin lightening soap
৯। Glow and lovely soap
১০। Ponds white beauty soap
ডাব সাবান দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
অনেকে ডাব সাবান এর নাম শুনেছেন। অনেকেই মনে করেন যে ডাব সাবান ত্বকে ব্যবহার করা
যায় না। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল। ডাব সাবান ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আপনার
ত্বক যদি শুষ্ক হয়ে থাকে তাহলে আপনি অনায়াসে ডাব ব্যবহার করতে পারেন। ডাবে
রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান যা আপনার ত্বককে পুষ্টির যোগান দেবে এর সাথে আপনার
ত্বক কে করবে কোমল উজ্জ্বল।
ডাবের সবচেয়ে ভালো গুণ হচ্ছে এটি আপনার ত্বকে কখনো শুষ্ক হতে দেয় না। ডাবের
মধ্যে থাকা গ্লিসারিন আপনার ত্বকে সবসময়ই কোমল এবং নরম করে রাখবে ।এটি আপনার
ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়াও এটি আপনার ত্বককে ফর্সা করার
জন্য বেশ উপকারী। ডাব সাবান ব্যবহার করে আপনি হতে পারেন ফর্সা ত্বকের
অধিকারী।
সেজন্য আপনাকে প্রথমে কিছুটা ডাব সাবান গ্রেট করে নিতে হবে। এরপর এই গ্রেট করা
সাবানে পানি মিশিয়ে লিকুইড তৈরি করতে হবে। এরপর আপনাকে নিতে হবে একটি আলু এবং
সেই আলু কে গ্রেট করে সেটা থেকে রস বের করে নিতে হবে। আলুর রস ও ডাব সাবানের
মিশ্রণ একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে এর ভেতরে কিছুটা কনফ্লাওয়ার মিশিয়ে একটি
পেস্ট তৈরি করতে হবে।
এই পেস্টটি আপনি আপনার মুখ পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন এবং এটি এতটাই
দারুন কার্যকরী যে এটি আপনার ত্বকের দাগ ত্বকের কালো ভাব এ সমস্ত কিছু দূর করবে।
আপনার ত্বকের ন্যাচরাল গ্লো এবং ন্যাচরাল ফর্সা করতে এটা খুবই কার্যকরী এবং এটি
আপনার পক্ষে রুক্ষ হওয়ার হাত থেকে বাঁচায় রুক্ষ ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্দেসা
দেখায় লাবণ্যময় করে তোলে।
এছাড়াও আপনি ডাব সাবান আপনার ত্বকে এমনি ব্যবহার করতে পারেন এতে করেও আপনার
ত্বকের কালো ভাব দূর হবে ময়লা দূর হবে এবং ত্বককে পরিষ্কার ও ফর্সা করবে। একই
সাথে এটি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক থাকবে ত্বকের শুষ্কতা হবে না
এবং এর ফলে তোকে আরো উজ্জ্বল এবং ফর্সা হয়ে উঠবে।
ছেলেদের ফর্সা হওয়ার সাবান
ছেলেদের ত্বক এবং মেয়েদের ত্বকের মধ্যে রয়েছে অনেক পার্থক্য। তাই আপনি যদি
মেয়েদের ব্যবহারের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টগুলো আপনার ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে
হতে পারে নানা ধরনের সমস্যা। ছেলেদের ত্বকের ধরন অনুযায়ী রয়েছে বিভিন্ন ধরনের
স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট। হ্যাঁ একদম ঠিক, ছেলেদের রয়েছে কিছু স্কিন কেয়ার
প্রোডাক্ট যেগুলো শুধুমাত্র ছেলেদের ত্বকের ওপর নির্ভর করে তৈরি।
এই সমস্ত প্রোডাক্টগুলো যদি আপনি আপনার ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে পেতে পারেন ভালো
ফলাফল। ছেলেদের ত্বকের জন্য রয়েছে বিশেষ সাবান যেগুলো ছেলেদের ত্বক ফর্সা করতে
খুবই ভালো কাজ করে। অনেক ছেলেদের ত্বক কালো বা শ্যাম বর্ণের থেকে থাকে বা ছোট ছোট
কালো দাগ থেকে থাকে যেগুলো মোটেও ভালো দেখায় না।
আপনি যদি এই সমস্ত সমস্যা দূর করতে চান তাহলে ব্যবহার করতে পারেন ছেলেদের জন্য
তৈরি ফর্সা হওয়ার সাবান। তো চলুন জেনে নিন আপনার ত্বকের জন্য কি ধরনের উপকরণ
যুক্ত সাবান আপনি ব্যবহার করতে পারেন এবং আপনার ত্বকে ফর্সা করে তুলতে
পারেন।
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সাবান
- হাইড্রেটিং সাবান
- ব্রণ প্রতিরোধী সাবান
- টোনার যুক্ত সাবান
- ডিপ ক্লিন করে এমন সাবান
এবার আপনাদেরকে এমন পাঁচটি ছেলেদের ত্বক ফর্সাকারী সাবানের নাম বলবো যেগুলো আপনি
ব্যবহার করতে পারেন আপনার ত্বকে ফর্সা করতে।
১। গ্লুটাথিয়ন সাবান
২। কোজিক অ্যাসিড সাবান
৩। পাপায়া সাবান
৪। নিম ও চারকোল সাবান
৫। পন্ডস মেন এনার্জি ব্রাইট সাবান
ফর্সা হওয়ার সাবান তৈরি
আপনি ত্বকের যত্ন নিতে চান কিন্তু যত্ন নেয়া হয়ে ওঠেনা। এজন্য যত্নের অভাবে
আপনার ত্বকের সৌন্দর্য দিন দিন কমতেই থাকে। এছাড়াও আপনার যদি বাজারের বিভিন্ন
প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে ভয় কাজ করে যে এ সমস্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে
হয়তো আপনার ত্বক নষ্ট হয়ে যাবে। কেননা বাজারে বেশিরভাগ প্রোডাক্টে কেমিক্যাল
ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর।তো আজকে আপনার জন্য কিছু
ঘরোয়া ভাবে সাবান তৈরি উপায় সম্পর্কে জানাবো।
আপনি বাসায় বসে থেকে আপনার হাতের কাছে কিছু উপাদান দিয়ে খুব সহজে আপনার ত্বকের
যত্ন নেওয়ার মতো সাবান তৈরি করতে পারেন। যে সাবান দিয়ে আপনি আপনার মুখকে
পরিষ্কার করতে পারবেন আপনার ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন।আমরা সবাই জানি ত্বক
পরিষ্কার করা কতটা জরুরী কেননা ৯৯ শতাংশ ত্বকের সমস্যা হয়ে থাকে ত্বক ভালোভাবে
পরিষ্কার না করার কারণে।
তাই আজকে আপনি বাসায় বসে থেকে কিভাবে সাবান তৈরি করতে পারবেন এবং আপনার ত্বককে
পরিষ্কার করতে পারবেন ভাল রাখতে পারবেন সেই সম্পর্কে চলুন জেনে নিন।
- সাবান তৈরির জন্য একটু শসা খোসা সহ কেটে নিতে হবে টুকরো টুকরো করে, এরপর আলোর খোসা ছাড়িয়ে অল্প পরিমানে টুকরো টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এরপর কেটে রাখা আলু এবং শশা মিক্সিং করে এর ভেতরে একটু কাঁচা দুধ মিশিয়ে ভালো করে আবার মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর মিশ্রণটা ভালো করে ছেঁকে নিয়ে এর ভেতরে দুই চামচ চালের গুড়া ও বেসন মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এর ভেতরে বেকিং সোডা এবং অর্ধেক পাতি লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এতে আপনার ত্বকের ময়লা দূর হবে।স্নানের আগে আপনার ত্বকে ১৫ মিনিট এ সাবান রেখে দিয়ে ধুয়ে নিন। এটি তৈরি করে আপনি আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারবেন।
- একটি গ্লিসারিন যুক্ত সাবান নিন এরপর এটি গলিয়ে নিন। সাবান গলানো হয়ে গেলে এর ভেতরে হলুদ গুঁড়া, দুধ, মধু ,লেবুর রস, গোলাপ জল,নারকেল তেল এবং এলোভেরা জেল মিশিয়ে এটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর এর ভেতরে পাঁচ থেকে ছয় ফোটা এসেনশিয়াল অয়েল যোগ দিন। মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে ৬ থেকে ৮ ঘন্টার জন্য একটি ছাচে ঢেলে শক্ত হওয়ার জন্য রেখে দিন। এই সাবানটি আপনার মুখ এবং শরীরে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ত্বক পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হবে।
শেষ কথাঃ ফর্সা হওয়ার সবচেয়ে ভালো সাবান
আজকের এ পোস্টে ত্বক ফর্সা হওয়ার ভালো সাবান, হাত-পা ও পুরো শরীর ফর্সা করার
সাবান, ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি সাবান সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। মানুষের
ত্বক কখনোই একরকম হয় না। সবার ত্বক আলাদা আলাদা প্রকৃতির হয়ে থাকে। যে কারণে
কিছু প্রোডাক্ট আমাদের ত্বকে ভালো ফলাফল দিতে পারে না এবং ত্বকে নানান সমস্যা
দেখা দিতে পারে।
আপনি যদি ত্বক ফর্সা হওয়ার জন্য কোন সাবান ব্যবহার করে থাকেন বা কোন পণ্য
ব্যবহার করে থাকেন সেটা অবশ্যই আপনাকে ক্ষণস্থায়ী ফর্সা করতে পারবে একদম পুরো
স্থায়ীভাবে ফর্সা করা কোন ভাবে সম্ভব নয়। এর সাথে আপনি কোন সাবান বা পণ্য
ব্যবহার করে আপনার ত্বকে কোন সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ
নিতে হবে।
এছাড়াও অনেকের এলার্জি সমস্যা থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক হয়ে এবং
কোন সমস্যা দেখা দিচ্ছে কি না নিশ্চিত হওয়ার পর আপনার ত্বকের ব্যবহার
করতে পারেন। এ সমস্ত সাবান গুলো ব্যবহার করে আপনি ক্ষণস্থায়ী ফর্সা হতে পারবেন
তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী হবে এর কোন নিশ্চয়তা নেই।
আজকের আর্টিকেলে ফর্সা হওয়ার সাবান, ছেলেদের ফর্সা হওয়ার সাবান, ফর্সা
হওয়ার সাবান তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। তাই আমার এই পোষ্টের
মাধ্যমে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের
জানার সুযোগ করে দিন ধন্যবাদ।
শুরু থেকে শেষ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url