লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ কি কাজে আসে
লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে আপনি কি জানেন। এই লাল বর্ণের ড্রাগন ফল এর ভেতরে রয়েছে পুষ্টির সমাহার। এর ওপরের দিকটা শক্ত আবরণে ঢাকা ড্রাগনের মতো হলেও এর ভেতরে রয়েছে সুমিষ্ঠ একটি ফল। আপনার শরীরের একাধিক পুষ্টি যোগান দিতে পারে ড্রাগন ফল।
একটি ড্রাগন ফল যদি আপনি প্রতিদিন খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে আসতে পারে আমূল পরিবর্তন। ড্রাগন ফল দূর করতে পারে আপনার শরীলের রক্ত স্বল্পতা মত সমস্যা। ডাক্তাররা কেন পরামর্শ দিয়ে থাকে ড্রাগন ফল খাওয়ার বিস্তারিত জানতে আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা
লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা অগণিত। লাল ড্রাগন ফলকে অনেকে ড্রাগন ফল ও পিটায়া
নামেও চিনে থাকে। এটি বিভিন্ন কালারের হয়ে থাকে লাল, বেগুনি, সাদা, হলুদ,
গোলাপি। বর্তমানে এটি বহুল পরিচিত ফলে পরিণত হয়েছে এবং এর উপকারিতার জন্য যুক্ত
হচ্ছে মানুষের খাবার তালিকায়। এর উপকারিতার কারণে ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়ে থাকেন
লাল ড্রাগন ফল খাওয়ার। চলুন তাহলে জেনে নিন কি এমন উপকারিতা রয়েছে এই ড্রাগন
ফলের ভেতরে।
- হজমে সাহায্য করেঃ লাল ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আর আমাদের শরীরে ডায়েটারি ফাইবার মলত্যাগে খুবই সাহায্যকারী এটি আমাদের শরীরে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। ডাইরেটেরি ফাইবার আমাদের শরীরের ভেতরের অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। লাল ড্রাগন এর ফলে পচনতন্ত্র মসৃণ ও দক্ষতার সাথে কাজ করে। প্রিবায়োটিক বৈশিষ্ট্যসমৃদ্ধ ফাইবার অন্তরে উপকারী ব্যাকটেরিয়া গুলোকে খাওয়ায় এবং এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর ভারসাম্য রক্ষা করে। এটি হজম, অনাক্রম্যতা, মানসিক সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- রোগ প্রতিরোধ করেঃ লাল ড্রাগন ফলে বিদ্যমান ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শরীরের মুক্ত মৌল যা আমাদের শরীরে রোগ সৃষ্টি করে ড্রাগন ফল এটিকে ধ্বংস করে রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- হৃদপিণ্ড ভালো রাখেঃ লাল ড্রাগন ফল কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং এটি HDL কোলেস্টেরল অর্থাৎ ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর খারাপ কোলেস্টেরল LDL কমাতে সাহায্য করে ফলে আমাদের হৃদপিণ্ড ভালো থাকে।
- হাড়ের শক্তি বাড়ায়ঃ ড্রাগন ফলে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস উপাদান হাড়কে মজবুত করতে সাহায্য করে এবং অস্টিওপরোসিস এর মত রোগ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
- ওজন কমায়ঃ ড্রাগন ফল ফাইবার যুক্ত খাবার হওয়ায় এটি খেলে পেট ভরিয়ে রাখে অনেকক্ষণ ফলে খুদা কমে যায়। ফলে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে আসে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
- ত্বক ভালো রাখেঃ ড্রাগন ফলে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি ত্বক ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ইতি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের দাগ দূর করে। ড্রাগন ফল ব্রন ও চুলকানির মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ ড্রাগন ফল গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ইনসুলিন তৈরি করে যা রক্তে শর্করা আর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের বিশেষ করে টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই কার্যকরী একটি ফল।
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ ড্রাগন ফলে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও বিটা ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি করতে বাধা দেয় এবং শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ ড্রাগন ফলে বিদ্যমান ম্যাগনেসিয়াম স্নায়ু তন্ত্র গুলোকে শান্ত রাখে ও উদ্বেগ বিষন্নতা কমিয়ে মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
ড্রাগন ফল অনেকেই খেয়েছে তবে ড্রাগন ফলের খোসা যে কাজে আসতে পারে এটা অনেকেই
জানে না। আমরা সব সময় ফল খেয়ে ফলের খোসা ফেলে দিই কিন্তু এ ড্রাগন ফলের খোসা
আপনার কাজে আসতে পারে আসতে পারে নানা উপকারে বৃদ্ধি করতে পারে আপনার সৌন্দর্য
এবং ঠিক রাখতে পারে আপনার স্বাস্থ্যকে। ড্রাগন ফলের খোসা প্রচুর পরিমাণে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি আপনার বার্ধক্য জনিত সমস্যা দূর করতে
সক্ষম। ড্রাগন ফলের খোসা খেলে বৃদ্ধি করতে পারে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা,
বাড়াতে পারে আপনার হজম শক্তি, সাহায্য করতে পারি আপনার ওজন কমাতে। এছাড়াও
আপনি এটি পেজ তৈরি করে আপনার চুলের মাছ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার
চুল হবে মজবুত ও উজ্জ্বল। আপনি চাইলে ড্রাগন ফলের খোসা গরম পানিতে চা বানিয়ে
অথবা জুস তৈরি করে খেতে পারেন। এমনকি গুড়া বানিয়ে মুখে মাস্ক হিসেবে
ব্যবহার করতে পারেন।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ
ড্রাগন ফল একটি বিদেশি ফল যা বর্তমানে এখন আমাদের দেশে চাষ করা হচ্ছে প্রচুর
পরিমাণে। এর জনপ্রিয়তা রয়েছে বেশ তুঙ্গে। এ জনপ্রিয়তা বেশি হওয়ার কারণ
হচ্ছে এটি দেখতে কিছুটা বিচিত্র এবং এর উপকারিতা রয়েছে অগণিত। ড্রাগন ফল মূলত
একটি ক্যাকটাস জাতীয় গাছের ফল। এটি ক্যাকটাস জাতীয় গাছ থেকে তৈরি হয়, ড্রাগন
ফল যার ভেতরে রয়েছে পুষ্টি গুনে ভরা একটি নরম অংশ এবং এর বাইরের দিকটা হচ্ছে
শক্ত ও আগুনের শিখার মত। এই ড্রাগন ফল শুধু সাজের দিক দিয়েই নয় বরং পুষ্টিতে
আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। চলুন তাহলে জেনে নিন ড্রাগন ফলের পুষ্টি
গুনাগুন।
প্রতিটি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়
- ক্যালোরি পরিমাণ ৫০ থেকে ৬০ ক্যালোরি
- প্রোটিন পরিমাণ ১.২ থেকে ২ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট পরিমাণ ১১ থেকে ১৩ গ্রাম
- ডায়েটারি ফাইবার পরিমাণ ৩ গ্রাম
- চর্বি বা ফ্যাট পরিমাণ০.১ থেকে ০.৬ গ্রাম
- ভিটামিন সি পরিমাণ ৩ থেকে ৮ মিলিগ্রাম
- আয়রন পরিমাণ০.৫ থেকে ১ মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম পরিমাণ ৮ থেকে ১০ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম পরিমাণ১০ থেকে ২০ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস পরিমাণ ৩৪ মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম পরিমাণ ৪৩৫ মিলিগ্রাম
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
- বিটা ক্যারোটিন
- ফ্ল্যাভোনয়েডস
ড্রাগন ফল খাওয়ার নিয়ম
ড্রাগন ফল কিভাবে খাবেন বা কিসের সঙ্গে ড্রাগন ফল খেতে পারেন তা নিয়ে
ভাবছেন। ড্রাগন ফল আপনি বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। প্রথমে একটি পাকা ড্রাগন ফল
নিয়ে ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন এরপর ড্রাগন ফলটি মাছ বরাবর কেটে আপনি
চাইলে এটা চামচ দিয়ে চামড়া থেকে মাংস তুলে খেতে পারেন। আবার আপনি খোলসা
মাংস থেকে আলাদা করে চুরির সাহায্যে কিউব করে কেটে নিয়ে খেতে পারেন।
ড্রাগন ফল আপনি সালাতের মধ্যে মিশিয়ে সালাত হিসেবে খেতে পারেন। এছাড়া আপনি
ড্রাগন ফলের স্মুদি তৈরি করে খেতে পারেন। ড্রাগন ফলের জুস তৈরি করে খেতে
পারেন। আপনি চাইলে এটি ফ্রুটবোল হিসেবে যুক্ত করে প্রতিদিন খেতে পারেন। দই বা
ওটমিলের সাথে ড্রাগন ফল খেতে পারেন। মিল্কশেকের মধ্যে ড্রাগন ফল মিশিয়ে খেতে
পারেন। আইসক্রিম ডেজার্ট এর মধ্যে ড্রাগন ফল যুক্ত করে খেতে পারেন।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়
ড্রাগন ফল পুষ্টিগুনে ভরপুর একটি ফল হলেও এটি খাওয়ার নিয়ম ও পদ্ধতির উপর
নির্ভর করে আপনি কতটুকু পুষ্টিগুণ আপনার শরীরে পাবেন। যেকোনো সময় আপনি
ড্রাগন ফল খেলে যে আপনি সম্পূর্ণ গুনাগুন পেতে পারবেন তা কিন্তু নয়।
বরঞ্চ অনেক সময় এটি আপনার কোন গুনে বা কাজে আসতে পারবেনা। এজন্য কিছু
নির্দিষ্ট সময় ড্রাগন ফল খেলে আপনি পেতে পারেন ড্রাগন ফল এর সর্বোচ্চ উপকার
ও পুষ্টিগুণ।
- সকালবেলা ড্রাগন ফল খাওয়া রয়েছে সর্বাধিক উপকারিতা। সকাল বেলা খালি পেটে যদি আপনি ড্রাগন ফল খান তাহলে এটি আপনার শরীরে যেমন হজম শক্তি বাড়ায়, শরীরের টক্সিন দূর করে, প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপাদন করে এবং এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখি এবং আন্টি অক্সিডেন্ট ও ফাইবার সহজে শোষিত হতে পারে।
- দুপুর বেলা খাবার খাওয়ার আগে খালি পেটে আপনি ড্রাগন ফল খেতে পারেন এটি আপনার শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখবে এবং পেট ভরিয়ে রাখবে।এতে আপনাকে অতিরিক্ত দুপুরে খাবার গ্রহণ অর্থাৎ ক্যালরি গ্রহণ থেকে বাঁচাবে।
- রাতে ড্রাগন ফল খেলে হতে পারে বিপদ। রাতে ড্রাগন ফল খাওয়া বেশি উচিত নয় কেননা ড্রাগন ফলে রয়েছে ফাইবার যা আপনি খেয়ে ঘুমানোর ফলে এটি হজমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এজন্য রাত্রে ড্রাগন ফল খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
- আপনি ড্রাগন ফলের সর্বোচ্চ ভালো ফলাফল পেতে আপনি সকালে খালি পেটে ড্রাগন ফল খেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়ের প্রয়োজন পরে অতিরিক্ত পুষ্টি সম্মত খাবার। এমন
অবস্থায় আপনি আপনার গর্ব অবস্থায় অনায়াসে যোগ করতে পারেন ড্রাগন ফল।
ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টির উপাদান যা আপনার
স্বাস্থ্যের জন্য এবং আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। ড্রাগন ফল
এর বিদ্যমান ভিটামিন সি, ফোলেট এবং আয়রন যা মা এবং শিশুর উভয়ের বিকাশের
জন্য অপরিহার্য। গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেলে এর ভিতরে বিদ্যমান ভিটামিন সি
রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে, আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করে, রক্তস্বল্পতা
দূর করে এবং রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।গর্ভাবস্থায় লাল ড্রাগন ফল খেলে
শিশুর স্নায়ু গঠন করে এবং প্রসবকালীন সমস্যা কমায়।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খেলে এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে,
হজমের সমস্যা দূর করবে এমনকি অনেক সময় গর্ভাবস্থায় কষ্ট কাটিং এর মত সমস্যা
দেখা দেয় যা ড্রাগন ফল খেলে অনেকটাই কমতে পারে, গর্বের শিশুর হাড় ও দাঁতের
গঠনের কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ড্রাগন ফলস সাহায্য করে হার ও দাঁত গঠনে,
গর্ভাবস্থায় দরকার পরে প্রচুর পরিমাণে পানি এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখতে দরকার
পড়ে প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়ার সেক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল পানির
চাহিদা পূরণ করার একটি উত্তম উৎস হতে পারে। ড্রাগন ফলে রয়েছে পানি প্রচুর
পরিমাণে যে আপনার শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করবে। গর্ভাবস্থার ত্বকের
নানান দাগ ও ব্রণের সমস্যা দেখা দেয় এমন সময় আপনি ড্রাগন ফল খেতে পারেন
ড্রাগন ফলের বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের ভিতরে থাকা কোষের দাগ এবং
ব্রণ দূর করে ত্বকে উজ্জল মসৃণ করতে সাহায্য করে।
বাচ্চাদের ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা
বাচ্চাদের শরীরের বিকাশের জন্য এবং সার্বিক বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর
এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের তালিকা তৈরি
করতে গেলে অনেক সময় চিন্তা করেন যে কোন খাবারটা রাখবেন আর কোনটা রাখবেন না।
আপনি আপনার বাচ্চার স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অনায়াসে বাচ্চার খাবারের
তালিকায় যোগ করতে পারেন ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফলে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
আপনার শিশুর দেহের কোষগুলিকে সুরক্ষা দেয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
- ড্রাগন ফলের বিদ্যমান পুষ্টি হার্ট কে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটা আপনার শিশুর হৃদরোগের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি কমবে।
- ড্রাগন ফলের বিদ্যমান ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আপনার শিশুর হাড় ও দাঁ ত গঠনে এবং শক্ত করতে খুবই সাহায্য করে। এটি আপনার বাচ্চার শরীরের হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে এবং রিকেট ও আর্থাইটিস এর মত রোগ গুলো দূরে রাখে।
- ড্রাগন করে বিদ্যমান ভিটামিন সি আপনার শিশুর ত্বককে ভালো রাখে ত্বকের বৃদ্ধি সাধন করে এবং পেশি গুলোকে সঞ্চালন করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি আপনার শিশু স্কার্ভি জাতীয় রোগ থেকে রক্ষা করে।
- ড্রাগন ফোলাতে তোমার ফাইবার যুক্ত আশ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এটি আপনার শিশুর অন্ত্রের ও পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখে এবং শিশুর স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।
- শিশুদের অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য এর মত সমস্যা দেখা দেয় এমন অবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ালে এটি অন্ত্রের সমস্যা কোষ্ঠকাঠিন্যকে দূর করে এবং মসৃণ ভাবে চলাচল করতে সাহায্য করে যা হজমের সহায়তা করে।
- ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন এ যা আপনার শিশুর দৃষ্টিশক্তিকে তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে।
- ড্রাগন ফলে রয়েছে আয়রন যা আপনার শিশুর নখ চুল এর বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে এবং আপনার শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শিশুর রোহিত রক্তকণিকা বাড়াতে খুবই কার্যকরী আয়রন।
- ড্রাগন ফলের ডিটক্সিফিকেশনের কারণে ক্ষতিকারক রাসায়নিক প্রদত্ত থেকে মুক্ত করে আপনার শিশুর ইউরোনারি সিস্টেমকে স্বাস্থ্যকরভাবে পরিচালিত করতে সাহায্য করে।
ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
ড্রাগন ফলের রয়েছে পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা। তবে কোন জিনিসের যেমন ভালো দিক
রয়েছে তেমনি খারাপ দিকে রয়েছে। ড্রাগন ফল যে পুষ্টিকর এবং এটি খেলে
যে নানা উপকারিতা রয়েছে এটা সত্য। তবে যদি ড্রাগন ফল মাত্র অতিরিক্ত খাওয়া
হয় তাহলে হতে পারে ক্ষতি। ড্রাগন ফল বেশি পরিমাণে খেলে তৈরি করতে পেরে আপনার
শরীরের সমস্যা হতে পারে নানান জটিলতাও। ড্রাগন ফল খাওয়ার ফলে হতে পারে নানা
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। তা চলুন জেনে দিন ড্রাগন ফল মাত্রা অতিরিক্ত খেলে কি
কি সমস্যা হতে পারে বাই এর পার্শ্বপ্রতিকরা গুলো।
- ড্রাগন ফল যেমন শর্করা এর মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস রোগীদের সুবিধা প্রদান করে থাকে ঠিক তেমনি ড্রাগন ফল মাত্রা অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে শর্করা মাত্রা কমে যেতে পারে এতে হতে পারে মৃত্যু। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ড্রাগন ফল খেলে এটি ইনসুলিন তৈরি করে এবং শর্করার মাত্রা কমায়। যার ফলে ডায়াবেটিসের ওষুধ গ্রহণ করলে এতে শর্করা মাত্রা আরো অত্যাধিক কমে যায়।
- ড্রাগন ফল ফাইবার সমৃদ্ধ একটি ফল এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে হতে পারে পেটে গ্যাস, ডায়রিয়া,পেট ব্যথা, বদ হজমের মত সমস্যা। যারে পাকস্থলীর বা হজম প্রক্রিয়ার দুর্বল তাদের এই অতিরিক্ত পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল গ্রহণ করা থেকে দূরে থাকা উত্তম।
- অতিরিক্ত ড্রাগন ফল গ্রহণের ফলে কমে যেতে পারে রক্তের চাপ। যাদের রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে তারা এই ফল অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে রক্তচাপ আরো কমে যেতে পারে এবং মাথা ঘোরা দুর্বলতা এমনকি জ্ঞান হারানোর মতো সমস্যা হতে পারে।
- কিডনি সমস্যা তৈরি হতে পারে অতিরিক্ত পরিমাণে ড্রাগন ফল খেলে। ড্রাগন ফলে রয়েছে অক্সলেট উপাদান যা অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কিডনিতে হতে পারে পাথর। কিডনি সমস্যা যারা গ্রুপ চ্যাট বাকি নিজে পাথর হওয়ার উপক্রম রয়েছে যাদের তাদের এই ড্রাগন ফল অতিরিক্ত খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে লাল ড্রাগন ফল খেলে হতে পারে প্রস্রাব বা মলের রং এর পরিবর্তন।
- অনেকের শরীরের ড্রাগন ফলে থাকা প্রোটিন বা উপাদানের কারণে হতে পারে এলার্জির সমস্যা। বিশেষ করে অতি সংবেদনশীল ত্বক এবং শরীল যাদের রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ড্রাগন ফল খাওয়ার সময় অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে এবং এটি খাওয়ার পূর্বস্বই পরীক্ষা করতে হবে ড্রাগন ফলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াস সৃষ্টি হচ্ছে কিনা যেমন চুলকানির, ফোলা ভাব, লালচে দাগ, শ্বাসকষ্ট, পেটে অস্বস্তি ইত্যাদি সমস্যা।
টবে ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি
ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর উপকারিতা। ঠিক তেমনি ড্রাগন ফলের দামও বেশ চওড়া।
এত বেশি টাকা দিয়ে বাজার থেকে ড্রাগন ফলস কিনে খাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। সে
ক্ষেত্রে আপনি বাড়িতে খুব সহজে চাষ করতে পারেন ড্রাগন ফলের। কিভাবে চাষ
করবেন এবং কি উপায়ে কি পদ্ধতি অবলম্বন করলে আপনি পেতে পারেন ভালো ফলাফল
চলুন জেনে নিন।সব রকমের মাটিতে ড্রাগন ফল চাষ করা যাবে তবে ভালো ফলাফল পেতে
হলে আপনাকে অবশ্যই জৈব পদার্থ ব্যবহার করতে হবে এবং দোআশ মাটি বাছাই করতে
হবে। দোয়ার সময় কি বাছাই করে এর ভিতরে গোবর পরিমাণ মতো, ৫০ গ্রাম পটাশ,
৫০ গ্রাম টিএসপি, এগুলো মিশিয়ে ভালোভাবে পরিমাণমতো পানি দিয়ে মাটিকে
ভিজিয়ে রাখতে হবে। এইবার আপনি যেখানে বা যেই জায়গায় ড্রাগন ফলের গাছটি
লাগাতে চাচ্ছেন সেখানে এই উপকরণ গুলো ১০ থেকে ১২ দিন রেখে দিতে হবে।
যদি আপনি টবে গাছ লাগাতে চান তাহলে আবশই ২০ ইঞ্চি টব হতে হবে। এরপর সে
মাটিগুলো ভালোভাবে নিংড়ানি দিয়ে নেড়ে ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। এরপর এটি
চার থেকে পাঁচ দিন রেখে দিতে হবে। মাটি কিছুটা শুষ্ক হয়ে গেলে ভালো জাতের
ড্রাগন ফলে চারা এনে সে জায়গায় কাটিং করে রোপন করতে হবে। ড্রাগন ফলে
তেমন কোন রোগ বালাই আক্রমণ হয় না তবে এটি অন্যান্য যত্ন নিতে হবে যেমন এই
চারাটি যুক্ত স্থানে রাখতে হবে এবং এটি যেহেতু ক্যাকটাস জাতীয় গাছ তাই
এটিতে বেশি পানি দেয়া যাবে না। ড্রাগন ফলের গাছের টবে পানি বের হয়ে
যাওয়ার জায়গা তৈরি করতে হবে এক্ষেত্রে চার থেকে পাঁচটি ছিদ্র করে দিলে টপ
থেকে পানি গুলো বের হয়ে যাবে পানি জমাট বাঁধবে না। গাছটির হালকা ডালপালা
লতা গজানোর পর একটু বড় হলেই একটি খুঁটির সাহায্যে এটি বেঁধে দিতে হবে
তাহলে এটি আর ঢোলে পড়বে না।
লেখকের মন্তব্যঃ লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ কি কাজে আসে
লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ কি কাজে আসে সম্পর্কে এই
পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার পর আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন লাল ড্রাগন ফল আপনার
স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী কি না। ড্রাগন ফল শরিলের জন্য বেশ উপকারী তবে
অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয় যেমন
ডায়াবেটিস, নিম্ন রক্তচাপ , কিডনি সমস্যা, এলার্জি সে ক্ষেত্রে ড্রাগন ফল
খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। এছাড়া পরিমাণ মতো আপনি
ড্রাগন ফল খেতে পারেন এদের স্বাস্থ্যের সমস্যা হবে না। ড্রাগন ফল
পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে অনেক ভালো সেক্ষেত্রে আপনি শিশুদের খাদ্য তালিকায়
এটাই যুক্ত করতে পারেন এটি আপনার শিশুর সার্বিক বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করবে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখবে। গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল
খেলে অনেকটা পোস্টটি চাহিদা পূরণ করে থাকে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে
খুবই কার্যকরী তবে এটি খাওয়ার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
উচিত।
আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতার সম্পর্কে জানতে
পেরেছেন। আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার
বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের জানার সুযোগ করে দিন। এমন আরো প্রয়োজনীয়
তথ্যমূলক পোস্ট এবং অজানা তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট
করুন ধন্যবাদ।
শুরু থেকে শেষ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url