২০২৫ সালের রমজানের ক্যালেন্ডার ও রমজানের সময়সূচী জানুন
২০২৫ সালের রমজানের ক্যালেন্ডার ও রমজানের সময়সূচী অনেকে জানেন না। রমজান
হচ্ছে মুসলিমদের জন্য সবথেকে পবিত্রতম মাস। এই মাসকে আরবি যে কোন মাসের চেয়ে
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস হিসেবে ধরা হয়।রমজান মাসে আল্লাহর এবাদত করার
মাধ্যমে পাওয়া যায় আল্লাহর সান্নিধ্য।
এই রমজান মাসে আল্লাহর এবাদত করার জন্য রোজা বা সাওম পালন করা হয়ে থাকে। এই
সময় মুসলমানদের ইফতার, সেহেরী, সালাত আদায় করতে হয়। এসব কিছু মাধ্যমে
আল্লাহর প্রতি একাত্ম ভালবাসা প্রকাশ করা হয় এবং সকল পাপের জন্য ক্ষমা
প্রার্থনা করা হয়। এ সমস্ত নিয়ম পালনের জন্য সময়সূচি খুবই জরুরী। এজন্য
আজকের এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
পেজ সূচিপত্রঃ ২০২৫ সালের রমজানের ক্যালেন্ডার ও রমজানের সময় সূচি
- ২০২৫ সালের রমজানের ক্যালেন্ডার
- রমজানের সময়সূচী ২০২৫
- সাওমের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
- নফল রোজা রাখার নিয়ম
- গর্ভাবস্থায় রোজা রাখার ফজিলত
- মহিলাদের কাজা রোজা রাখার নিয়ম
- রোজাদারের পুরস্কার
- চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার উপকারিতা
- ২০২৫ সালের রমজান ঈদ কত তারিখে
- লেখকের মন্তব্যঃ ২০২৫ সালের রমজানের ক্যালেন্ডার ও রমজানের সময়সূচী
২০২৫ সালের রমজানের ক্যালেন্ডার
২০২৫ সালের রমজানের ক্যালেন্ডার দেখা যাচ্ছে ইংরেজি মার্চ মাসে রমজান মাসের
শুরু হয়েছে। আরবি ১৪৪৬ হিজরী অনুযায়ী এখানে ইংরেজি ১ তারিখে সাবান মাসের ২৯
তারিখ রোজ শনিবার এবং মার্চ মাসের ২ তারিখে রমজান মাসের ১ তারিখ রোজ রবিবার
হয়েছে। রমজান মাসের শেষ হয়েছে ইংরেজি মার্চ মাসের ৩০ তারিখ রোজ রবিবারে।
ইংরেজি তারিখ | বার | আরবি তারিখ | বাংলা তারিখ |
---|---|---|---|
১ | শনিবার | ২৯(শাবান) | ১৬(ফাল্গুন) |
২ | রবিবার | ১(প্রথম রমজান) | ১৭ |
৩ | সোমবার | ২ | ১৮ |
৪ | মঙ্গলবার | ৩ | ১৯ |
৫ | বুধবার | ৪ | ২০ |
৬ | বৃহস্পতিবার | ৫ | ২১ |
৭ | শুক্রবার | ৬ | ২২ |
৮ | শনিবার | ৭ | ২৩ |
৯ | রবিবার | ৮ | ২৪ |
১০ | সোমবার | ৯ | ২৫ |
১১ | মঙ্গলবার | ১০ | ২৬ |
১২ | বুধবার | ১১ | ২৭ |
১৩ | বৃহস্পতিবার | ১২ | ২৮ |
১৪ | শুক্রবার | ১৩ | ২৯ |
১৫ | শনিবার | ১৪ | ১(প্রথম চৈত্র ) |
১৬ | রবিবার | ১৫ | ২ |
১৭ | সোমবার | ১৬ | ৩ |
১৮ | মঙ্গলবার | ১৭ | ৪ |
১৯ | বুধবার | ১৮ | ৫ |
২০ | বৃহস্পতিবার | ১৯ | ৬ |
২১ | শুক্রবার | ২০ | ৭ |
২২ | শনিবার | ২১ | ৮ |
২৩ | রবিবার | ২২ | ৯ |
২৪ | সোমবার | ২৩ | ১০ |
২৫ | মঙ্গলবার | ২৪ | ১১ |
২৬ | বুধবার | ২৫ | ১২ |
২৭ | বৃহস্পতিবার | ২৬ | ১৩ |
২৮ | শুক্রবার | ২৭ | ১৪ |
২৯ | শনিবার | ২৮ | ১৫ |
৩০ | রবিবার | ২৯ | ১৬ |
৩১ | সোমবার | ১( প্রথম শাওয়াল) | ১৭ |
রমজানের সময়সূচী ২০২৫(রাজশাহী বিভাগের জন্য)
রমজান মাস হচ্ছে আল্লাহর প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশের মাস। এই মাসে আল্লাহ
তায়ালা কুরআন নাজিল করেছিলেন। এ মাস কে জুড়ে মুসলিমরা রোজা পালন করে থাকে। এ
সময় রোজার সেহরি ইফতার ও আজানের প্রতি খেয়াল রাখতে হয় এবং সেগুলো পালন করতে
হয়। এইজন্য কোন সময় কোনটা করতে হবে এটি জানা খুবই জরুরী। আপনি এ রমজানের
সময়সূচী দেখলে জানতে পারবে তবে এটি শুধু রাজশাহী জেলা ও এর আশেপাশের অঞ্চল
সমূহের জন্য প্রযোজ্য। রমজান মাসে ৩০ রোজা হবে কিনা সেটা চাঁদ দেখার উপর
নির্ভরশীল।
রমজান | তারিখ | বার | সাহরির শেষ সময় | ফজরের আজান | ইফতারের সময় |
---|---|---|---|---|---|
১ | ২মার্চ | রবিবার | ৫ঃ০৬মি. | ৫ঃ১২মি. | ৬ঃ১১মি. |
২ | ৩মার্চ | সোমবার | ৫ঃ০৬মি. | ৫ঃ১২মি. | ৬ঃ১২মি. |
৩ | ৪মার্চ | মঙ্গলবার | ৫ঃ০৫মি. | ৫ঃ১১মি. | ৬ঃ১২মি. |
৪ | ৫মার্চ | বুধবার | ৫ঃ০৪মি. | ৫ঃ১০মি. | ৬ঃ১২মি. |
৫ | ৬মার্চ | বৃহস্পতিবার | ৫ঃ০৩মি. | ৫ঃ০৯মি. | ৬ঃ১৩মি. |
৬ | ৭মার্চ | শুক্রবার | ৫ঃ০২মি. | ৫ঃ০৮মি. | ৬ঃ১৩মি. |
৭ | ৮মার্চ | শনিবার | ৫ঃ০১মি. | ৫ঃ০৭মি. | ৬ঃ১৪মি. |
৮ | ৯মার্চ | রবিবার | ৫ঃ০০মি. | ৫ঃ০৬মি. | ৬ঃ১৪মি. |
৯ | ১০মার্চ | সোমবার | ৪ঃ৫৯মি. | ৫ঃ০৫মি. | ৬ঃ১৫মি. |
১০ | ১১মার্চ | মঙ্গলবার | ৪ঃ৫৮মি. | ৫ঃ০৪মি. | ৬ঃ১৫মি. |
১১ | ১২মার্চ | বুধবার | ৪ঃ৫৭মি. | ৫ঃ০৩মি. | ৬ঃ১৬মি. |
১২ | ১৩মার্চ | বৃহস্পতিবার | ৪ঃ৫৬মি. | ৫ঃ০২মি. | ৬ঃ১৬মি. |
১৩ | ১৪মার্চ | শুক্রবার | ৪ঃ৫৫মি. | ৫ঃ০১মি. | ৬ঃ১৭মি. |
১৪ | ১৫মার্চ | শনিবার | ৪ঃ৫৪মি. | ৫ঃ০০মি. | ৬ঃ১৭মি. |
১৫ | ১৬মার্চ | রবিবার | ৪ঃ৫৩মি. | ৪ঃ৫৯মি. | ৬ঃ১৮মি. |
১৬ | ১৭মার্চ | সোমবার | ৪ঃ৫২মি. | ৪ঃ৫৮মি. | ৬ঃ১৮মি. |
১৭ | ১৮মার্চ | মঙ্গলবার | ৪ঃ৫১মি. | ৪ঃ৫৭মি. | ৬ঃ১৮মি. |
১৮ | ১৯মার্চ | বুধবার | ৪ঃ৫০মি. | ৪ঃ৫৬মি. | ৬ঃ১৯মি. |
১৯ | ২০মার্চ | বৃহস্পতিবার | ৪ঃ৪৯মি. | ৪ঃ৫৫মি. | ৬ঃ১৯মি. |
২০ | ২১মার্চ | শুক্রবার | ৪ঃ৪৮মি. | ৪ঃ৫৪মি. | ৬ঃ১৯মি. |
২১ | ২২মার্চ | শনিবার | ৪ঃ৪৭মি. | ৪ঃ৫৩মি. | ৬ঃ২০মি. |
২২ | ২৩মার্চ | রবিবার | ৪ঃ৪৬মি. | ৪ঃ৫২মি. | ৬ঃ২০মি. |
২৩ | ২৪মার্চ | সোমবার | ৪ঃ৪৫মি. | ৪ঃ৫১মি. | ৬ঃ২০মি. |
২৪ | ২৫মার্চ | মঙ্গলবার | ৪ঃ৪৪মি. | ৪ঃ৫০মি. | ৬ঃ২১মি. |
২৫ | ২৬মার্চ | বুধবার | ৪ঃ৪২মি. | ৪ঃ৪৮মি. | ৬ঃ২১মি. |
২৬ | ২৭মার্চ | বৃহস্পতিবার | ৪ঃ৪১মি. | ৪ঃ৪৭মি. | ৬ঃ২২মি. |
২৭ | ২৮মার্চ | শুক্রবার | ৪ঃ৪০মি. | ৪ঃ৪৬মি. | ৬ঃ২২মি. |
২৮ | ২৯মার্চ | শনিবার | ৪ঃ৩৯মি. | ৪ঃ৪৫মি. | ৬ঃ২৩মি. |
২৯ | ৩০মার্চ | রবিবার | ৪ঃ৩৭মি. | ৪ঃ৪৩মি. | ৬ঃ২৩মি. |
৩০ | ৩১মার্চ | সোমবার | ৪ঃ৩৬মি. | ৪ঃ৪২মি. | ৬ঃ২৪মি. |
সাওমের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
সাওম বা রোজা মৌলিক এবাদত গুলোর মধ্যে একটি। ইসলামের প্রধান পাঁচটি স্তম্ভের
মধ্যে সাওম একটি। তাও মানুষকে সকল খারাপ কাজ, লোভ-লালসা, মিথ্যাচার, ঝগড়া-বিবাদ,
অশ্লীল কথা সমস্ত কিছু থেকে দূরে রাখে। সাওম এর আভিধানিক অর্থই হলো বিরত থাকা।
আল্লাহ তাআলা মানুষের উপরে সাওম ফরজ করেছে মূলত আত্মার পরিশুদ্ধি ও সঠিক পথে
পরিচালিত করানোর জন্য। সাওমের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আল্লাহ প্রতি তাকওয়া প্রকাশ
পায়। তাই সাওমকে বলা যেতে পারে আত্মসংযম ও আত্মশুদ্ধির শ্রেষ্ঠ উপায়। সাওম বা
রোজা পালন করার সময় মুমিন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সুবহে সাদিক থেকে
সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকে এবং আল্লাহর প্রতি একাত্মতা প্রকাশ
করে।
সাওম পালনকারী আল্লাহর কাছে প্রিয় বান্দা তে রুপান্তরিত হয় এবং আল্লাহ তার
ত্যাগের বিনিময়ে ও আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের জন্য তার সমস্ত গুনাহ খাতা
মাফ করে দেন। সাওম মানুষের মধ্যে সহানুভূতি, মমত্তবোধ, সংযম, ত্যাগ, দান,
ভ্রাতৃত্ববোধ, দয়া সহ নানান অনুভূতি বিকাশ ঘটায়। সাওম পালনের মাধ্যমে পাওয়া
যায় দৈহিক, মানসিক, আত্মিক প্রশান্তি।
নফল রোজা রাখার নিয়ম
রমজান মাসের রোজা ফরজ করা হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে। কিন্তু বছরে দুই ঈদের দিন
ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার পরের তিনদিন রোজা রাখা হারাম। এই দিনগুলো বাদে আপনি বছরে
প্রতিদিন রোজা রাখতে পারেন। রমজান মাস বাদে যে সমস্ত রোজা রাখা হয় সেগুলোকে নফল
রোজা হিসেবে ধরা হয়। এই নফল রোজা রাখার কিছু নিয়ম রয়েছে। নফল রোজা করার জন্য
নিয়তের কিছু বিধান রয়েছে যেমন নফল রোজার নিয়ত আপনি চাইলে রাত থেকে দিনের
যেকোনো সময় করতে পারেন। তবে সুবহে সাদিকের আগে রোজার নিয়ত করলে বেশি ভালো।
কিন্তু যদি আপনি দিনের অর্ধেক সময়ে এসে রোজার নিয়ত করতে চান তাহলে অবশ্যই
আপনাকে রোজা ভঙ্গকারী কাজ হতে দূরে থাকতে হবে।
সুবহে সাদিকের পর যদি আপনি কোন
রোজা ভঙ্গকারী কাজ করে থাকেন যেমন কোন কিছু পানাহার করে থাকলে আপনার রোজা
জায়েজ হবে না। নফল রোজার ক্ষেত্রে আপনি যখন থেকে রোজা রাখার নিয়ত করবেন তখন
থেকে আপনি সওয়াব পাবেন। নফল রোজার নিয়ত করার সময় আপনি মুখে বলে নিয়ত করতে
পারেন এটা সবচেয়ে উত্তম। তবে আপনি যদি মনে মনে নিয়ত করে থাকেন এতেও কোন সমস্যা
নেই। আপনি চাইলে নিয়ত আরবিতে করতে না পারলে বাংলায় করতে পারেন। রোজা রাখার জন্য
আপনাকে সেহরি খেতে হবে বাধ্যতামূলক এমনটা কিন্তু নয়। অনেকের রাতের সেহেরির জন্য
জাগা পায়না সুবহে সাদিকের সময় ঘুম থেকে জাগা পায় সেক্ষেত্রে সেহরি না
খেয়ে রোজা রাখতে পারবে।
এমনকি রমজানের রোজা ও নফল রোজার ক্ষেত্রে আপনি রাতে
নিয়ত করে না থাকলেও সুবহে সাদিকের পর ঘুম থেকে উঠে নিয়ত করলেও আপনি রোজা রাখতে
পারবেন। দিনের বেলায় নিয়ত করার সময় অবশ্যই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে মত আকাশ
থেকে সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢালার দেড় ঘন্টা পূর্ব পর্যন্ত নিয়ত করতে পারবেন।আপনি
বছরের যে সময়গুলোতে নফল রোজা রাখতে পারেন জেনে নিন।
- আপনি চাইলে সাপ্তাহিক নফল রোজা রাখতে পারেন সাপ্তাহিক নফল রোজা আমাদের নবীজি (সা:) সোমবার আর বৃহস্পতিবার রাখতেন। এই দুই দিন মূলত আল্লাহর কাছে বান্দার আমলনামা পেশ করা হয়। সোমবারের রোজা কি একটু বিশেষ দিন হিসেবে ধরা হয়। এই সোমবারে মূলত আমাদের নবীজি (সা:) নবুয়ত লাভ করে এবং জন্মগ্রহণ করেন।
- মাসিক নফল রোজা হিসেবে প্রতি চন্দ্র মাসের ১৩-১৪ ১৫ তারিখ রোজা রাখার জন্য বিশেষ ফজিলত রয়েছে এমন হাদিস শরীফে বর্ণিত রয়েছে। নবীজি (সা:) আবু জর(রা:) কে উপদেশ দিয়েছিলেন যে যদি মাসে তিনটি রোজা রাখলে ১৩-১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখতে।
- বার্ষিক নফল রোজা হিসেবে শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখতে পারেন। যে ব্যাক্তি রমজান মাসের রোজা রাখার পর শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখবে সে সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব পাবে।
- আরো একটি দিন হচ্ছে জিলহজ মাসের ৯ তারিখ এই দিনে যে ব্যাক্তি রোজা রাখবে আল্লাহতালা তার আগের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবে। আরো একটি দিন হলো মহররমের ১০ তারিখ অর্থাৎ আশুরা দিনের রোজা এই দিনে কোন ব্যক্তি নফল রোজা হিসেবে রোজা রাখলে আল্লাহ তাআলা তার আগের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন।
গর্ভাবস্থায় রোজা রাখার ফজিলত
অনেকেই গর্ভাবস্থায় রোজা রাখা নিয়ে চিন্তায় ভুগেন। রোজা যেহেতু ফরজ বিশেষ
করে রমজান মাসের রোজার রয়েছে বিশেষ নিয়ামত এবং এটি ফরজ করা হয়েছে প্রতিটি
মুসলিম এর জন্য। সেক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় রমজান মাসের ফরজ রোজা রাখা যাবে কিনা
এবং বাচ্চার এবং মায়ের স্বাস্থ্যের সমস্যা হবে কিনা এ বিষয়ে অনেক প্রশ্ন থেকে
যায়। রোজা রাখার ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় অবশ্যই খেয়াল রাখতে
হবে স্বাস্থ্যের প্রতি। আপনার যদি শাস্তির তেমন কোন জটিল সমস্যা বা কঠিন সমস্যা
দেখা না দেয় তাহলে আপনি রোজা রাখতে পারেন। রোজা রাখলে বাচ্চার স্বাস্থ্যের
উপরে বা ওজনের উপরে তেমন কোন প্রভাব পড়ে না।
তবে কিছু জটিল সমস্যা
স্বাস্থ্যজনিত যেমন ডায়াবেটিস ইনসুলিন এই সমস্ত সমস্যা থাকলে রোজা রাখার
ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। গর্ভবতী মায়ের শরীর সুস্থ থাকলে
এবং বাচ্চা সুস্থ থাকলে রোজা রাখতে পারবে এবং রোজা রাখলে গর্ভবতী মায়ের শরীরে
বাচ্চার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পোস্টটি মজুদ থাকে বিধায় এতে কোন সমস্যা তৈরি
হয় না। গর্ভাবস্থায় মায়ের স্বাভাবিক প্রয়োজনের তুলনায় দ্বিগুণ ক্যালরি
প্রয়োজন হয়। তাই এ সময় প্রচুর পরিমাণে ক্যালারি যুক্ত ভিটামিন যুক্ত ফাইবার
যুক্ত খাবার খেতে হবে। এ সময় প্রচুর পরিমাণে প্রচুর পরিমাণে লিকুইড যুক্ত তরল
খাবার খেতে হবে যেন পানি শূন্যতা সমস্যা না তৈরি হয়।
গর্ভাবস্থায় রোজা থাকলে
রোজা দীর্ঘ সময় পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয় এজন্য অনেকেই চিন্তা করে শিশুর
শরীরের সঠিক পুষ্টি পাবে কিনা। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ইফতার ও সেহরির সময়
যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টিযুক্ত খাবার খেতে হবে এবং খাবারের প্রতি অনীহা করা যাবে
না। তবে গর্ভবতী মায়েদের জন্য প্রথম তিন মাস রোজা না করায় উত্তম। কেননা প্রথম
তিন মাস শিশুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি হয়। তাই এ সময় প্রয়োজন হয় বেশি পরিমাণে
পুষ্টি ও ভিটামিনের এবং এ সময় মায়ের অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। কিন্তু পর
মধ্যবর্তী তিন মাস শিশুর গঠন তৈরি হয়। সে ক্ষেত্রে গর্ভবতী মায়ের শরীর এর
অবস্থা যদি ভালো থাকে স্বাস্থ্য যদি ভালো থাকে কোন সমস্যা দেখা না দেয় তাহলে
রোজা রাখতে পারবে।
শেষের তিন মাস শিশু দ্রুত বেড়ে ওঠে তা এই তিন মাস সতর্ক
থাকতে হবে। এই সময়ে খাবার ওপরে এবং স্বাস্থ্যের উপরে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
তবে আপনি যদি রোজা করতে চান তাহলে অবশ্যই রমজানের পূর্বে একটা অভিজ্ঞ চিকিৎসকের
কাছ থেকে ভালো পুষ্টি সম্মত ডায়েট চার্ট তৈরি করে নিতে পারেন এবং মায়ের এবং
শিশুর স্বাস্থ্যের ওপর কোন প্রভাব পড়বে কিনা সেটা জেনে নিতে পারেন। আল্লাহতালা
যেহেতু অন্তঃসত্ত্বা গর্ববতী মা মায়ের জন্য রোজার বিধান শিথিল করেছেন তাই
গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যের উপর খেয়াল রেখে এবং কোন ক্ষতির আশঙ্কা হবে না এটি
নিশ্চিত করে আপনি রোজা রাখতে পারেন।গর্ভাবস্থায় রোজা থাকলে দুইটি রোজাদারের
মতো সওয়াব পাওয়া। এছাড়াও এ সময় রোজা থাকলে শিশু নেক হায়াত ও
দ্বীনদার হয়। এ সময় রোজা থাকলে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করা যায়।
মহিলাদের কাজা রোজা রাখার নিয়ম
রমজানের রোজা সবার জন্য ফরজ। তাই যদি কেউ কোন রোজা না করে বাদ পড়ে যায় সেটার
জন্য কাজা করতে হবে। অনেক সময় মহিলাদের পিরিয়ড ও সন্তান প্রসবের পর ঋতুস্রবের
কারণে রোজা ছুটে যায় এমন অবস্থায় রোজা কাজা করা লাগবে। কোন নারীর যদি
পিরিয়ড চলাকালে হঠাৎ দিনের মাঝ সময়ে পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে রোজা রাখলেও এটির
কাজা আদায় করতে হবে পরবর্তীতে। রমজান মাসের কাজা রোজা বছরের যে কোন সময় আদায়
করতে পারবে তবেই ঈদের দুইটি দিন ব্যতীত। ঋতুস্রবের কারণে রমজানের রোজা ছুটে
যাওয়া নারী কোন মাসে কাজা করতে তাকে এক্ষেত্রে তাকে কোন ফিদিয়া আদায় করতে
হবে না।
রমজানের ভাংতি রোজা গুলো কাজা করে নেওয়ার জন্য পরবর্তী রমজান পর্যন্ত
সময় থাকে। তবে ছুটে যাওয়া রমজানের রোজাগুলো শাওয়াল মাসের রোজার পর যত দ্রুত
সম্ভব কাজা করা উত্তম। তবে কোন নারী যদি রমজানের ভাংতি রোজাগুলো পরবর্তী রমজান
আর আসা পর্যন্ত কাজা করতে না পারে তবে পরবর্তী রমজানের রোজা শেষ হবার পর
পূর্বের রমজানের কাজা গুলো অবশ্যই তাকে করতে হবে। যদি রমজানের রোজা ভাঙতির
পেছনে শরীয়তসম্মত কোন কারণ না থাকে তাহলে এই সমস্ত কাজা করার সময় তা অবশ্যই
তাকে ফিদিয়া আদায় করতে হবে। এ সময় ছুটে যাওয়া রোজা গুলো পালনের ক্ষেত্রে
একসঙ্গে লাগাতার করার কোন নিয়ম নেই আপনি চাইলে মাঝে বিরতি দিয়ে পরবর্তী রমজান
আসার পূর্বে রোজা কাজা করতে পারেন।
ভাংতি রোজার কাফফারা আদায়ের ক্ষেত্রে তিনটি
নিয়ম রয়েছে। প্রথমটি হল একটি রোজা ছুটে যাওয়ার বদলে সাতটি রোজা রাখতে হবে
এবং এটি ধারাবাহিকভাবে রাখতে হবে। ধারাবাহিকভাবে রাখার সময় কোন একটি রোজা যদি
ছুটে যায় তবে আবার এটির উপরে কাফফারা জায়েজ হবে এবং নতুন করে শুরু করতে হবে।
দ্বিতীয় হল সাতটি রোজা পালন না করতে পারলে ৬০ জন গরিব, ফকির, মিসকিনকে দুই
বেলা খাবার দিতে হবে। বিশেষ করে গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তি রোজা রাখার ক্ষমতা নেই
যার। তৃতীয় হল কোন গোলাম বা দাসকে মুক্ত করতে হবে।
রোজাদারের পুরস্কার
রোজা বা সাওম এর অর্থ বিরত থাকা। রোজা পালন করা হয় আল্লাহর একাত্ম ইবাদতের
জন্য ও আনুগত্য প্রকাশের জন্য। রোজা পালনের সময় আল্লাহর নামে সকল রকম পানাহার
থেকে বিরত থাকে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল মুসলমান। তবে সকল
রোজাদারদের জন্য আল্লাহ রেখেছে বিশেষ পুরস্কার। রোজা পালনরত অবস্থায় কোন পাপ
কাজ করলে সে রোজা পালন অর্থহীন হয়ে যায়। কিন্তু যারা একাগ্রতা ও নিষ্ঠতার
সাথে রোজা পালন করে তাদেরকে আল্লাহ নিজ হাতে পুরস্কার প্রদান করবেন। এমন আরো
পুরস্কার রয়েছে রোজাদার ব্যক্তিদের জন্য যা কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত রয়েছে।
- স্বয়ং আল্লাহর কর্তৃক পুরস্কারঃরোজা যেহেতু আল্লাহর নামে রাখা হয় এতে ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থ থাকে না তাই এর পুরস্কারও দিবেন আল্লাহ নিজ হাতে।
- রোজা অতুলনীয় আমলঃ রোজা হচ্ছে আল্লাহর পরে তাকওয়া আনার অন্যতম একটি মাধ্যম। এমনকি নবীজি (সা:) আবু উমামা (রা:) কে এবাদত হিসেবে রোজা আঁকড়ে ধরতে বলেছিলেন আর বলেছিলেন এর কোন বিকল্প নেই।
- রোজার ঢালস্বরূপঃ রোজা একজন ব্যক্তিকে সকল রকমের পাপ কাজ ও খারাপ কাজ থেকে দূরে রাখে এবং অশ্লীলতা ও মূর্খের মতো কাজ থেকে বাঁচায়। রোজা ইহকালের বিভিন্ন পাপ থেকে বাঁচায় এবং পরকালের জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করে।
- জাহান্নাম থেকে মুক্তিঃ কোন ব্যক্তি একদিন আল্লাহর নামে রোজা রাখলে আল্লাহ তার মুখমণ্ডলকে জাহান্নামের আগুন থেকে ৭০ বছরের রাস্তা দূরে সরিয়ে দেয়।
- ফিতনা থেকে আত্মরক্ষাঃ মানুষ তার আশেপাশে বিভিন্ন কাজে ফিতনায় লিপ্ত হয়ে থাকে এই সময় রোজা পালন করলে সে সমস্ত অন্যায় থেকে দূরে সরে যায় এবং ন্যায়ের পথে অর্থাৎ নামাজ রোজা দান আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকে এতে সে ফিতনা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।
- রোজা সুপারিশকারীঃ আল্লাহর কাছে পরকালে সুপারিশ করবে রোজা। যে ব্যাক্তি রোজা পালন করবে আল্লাহর নামে সে ব্যক্তির হয়ে পরকালে সুপারিশ করবে রোজা ও কোরআন।
- জান্নাত লাভঃ যে ব্যাক্তি অন্যতম ফরজ রোজা পালন করবে না সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। জান্নাতের দরজা শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিদের জন্য খোলা থাকবে যারা রোজা পালন করে থাকবে এবং যারা রোজা পালন করবে না তাদের জন্য জান্নাতের দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে।
- আল্লাহর ক্ষমা লাভঃ আল্লাহ রোজা পালনকারী মুমিন ব্যক্তিদের সকল গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং ক্ষমা করবেন সকল পাপ কাজের জন্য।
- দোয়া কবুলঃ রোজাদার ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কোন দোয়া করলে সেটি আল্লাহ খুব দ্রুত কবুল করবেন। যে তিনজন ব্যক্তি দোয়া কবুল করা হয় তার মধ্যে রোজাদারের দোয়া, অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া ও মুসাফিরের দোয়া রয়েছে।
- অন্তরের পরিশুদ্ধিঃ রোজা পালন করার মাধ্যমে অন্তরের পরিশুদ্ধি করা যায়। রোজা পালন করার মাধ্যমে অন্তরের সংশয় দূর হয়।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে রোজার উপকারিতা
রোজা রাখা যে শুধু ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে উপকারিতা রয়েছে বা এটি যে শুধু
আমাদের পরকালের জন্য ভালো তা কিন্তু নয়। এটি আমাদের সামগ্রিক শরীল ও
স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা প্রকাশ করেছেন
রোজা রাখা রয়েছে নানান উপকারিতা। রোজা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী এতে
আমাদের শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলোকে সচল ও ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা
পালন করে।চলুন জেনে নিন রোজা রাখার ফলে আপনার শরীরে আপনি কি কি উপকার পেতে
পারেন।
- রোজা রাখার ফলে আপনার শরীরের যকৃত, হৃদপিণ্ড, অন্ত্রনালী ও বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশ্রাম পায়। ফলে এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে জমে থাকা চর্বি দেহের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের জন্য ছুটে যায় ফলে দিনের চর্বি কমে যায়। এবং এ সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পূর্ণ গঠন করতে পারে।
- রোজা রাখার ফলে লিভারের রক্ত সঞ্চালন দ্রুত হয় দেহের চর্বি, পেশির প্রোটিন, গ্রন্থ সমূহ আন্দোলিত হয়ে ওঠে। মাংস চলে আরাম-আয়েশের ফলে যে সমস্ত ক্ষতি হয় রোজাদার সমস্ত পূরণ করে এবং মানুষের শরীরকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
- যারা অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার গ্রহণ করে এবং অলস্য প্রকৃতির তাদের শরীরের নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে এক্ষেত্রে রোজা রাখলে এই সমস্ত সমস্যা হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- ফুসফুসের কাশির সর্দি কঠিন কাশি এবং ইনসুলিন যার মত সমস্যা রোজা করলে দ্রুত নিরাময় হয়।
- রোজা করার মাধ্যমে মস্তিষ্ক স্নায়ুতন্ত্র উজ্জীবিত হয়ে ওঠে।
- রোজা রাখলে বাতরোগ, বহুমূত্র, আজীর্ণ, হৃদরোগ ও রক্তচাপ জনিত সমস্যায় মানুষ কম আক্রান্ত হয়।
- রোজা থাকলে আলসারের রোগীদের সমস্যা কম হয়। হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও হাঁপানি রোগীদের জন্য রোজা খুবই উপকারী।
- মস্তিষ্কের সেরিবেলাম ও লিমরিক সিস্টেমের উপর নিয়ন্ত্রণ করার সম্ভাব হয় রোজা রাখার ফলে এবং এতে অশান্তি ও দুশ্চিন্তা দূর হয় যার রক্তচাপ কমাতে খুবই কার্যকরী।
- কিডনির সমস্যা থেকে থাকলে রোজা রাখলে কিডনিতে সঞ্চিত পাথর কনা ও চুন দূরবীভূত হয়।
- সারা বছর অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ, অখাদ্য, কুখাদ্য, ভেজাল, ফাস্টফুড ইত্যাদি খাওয়ার ফলে দেহে জৈব বিষ তৈরি হয় যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। রোজা পালনের মাধ্যমে এই জৈব খুব সহজে আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
- রোজা থাকার কারণে দীর্ঘ সময় কোন খাদ্য গ্রহণ না করায় আমাদের পেটের ভেতরে জমে থাকা ক্ষতিকারক পদার্থগুলো খেয়ে ফেলে।
২০২৫ সালের রমজান ঈদ কত তারিখে
২০২৫ সালের রমজান মাস শুরু হয়েছে ইংরেজি মার্চ মাসের ২ তারিখ থেকে। রমজান
মাস হচ্ছে মাগফিরাতের মাস, রহমতের মাস , নাজাতের মাস। রমজান মাসের প্রথম ১০
দিন হচ্ছে রহমতের মাস, দ্বিতীয় দশদিন হচ্ছে মাগফিরাতের মাস এবং তৃতীয় দশ
দিন হচ্ছে নাজাত লাভের মাস। রমজানের ৩০ দিন ৩০টা রোজা শেষ করার পর আশেক
আনন্দের খুশির ঈদ ঈদ উল ফিতর। ২০২৫ সালের রমজান মাসের ঈদুল ফিতর হতে পারে
৩০ মার্চ রোজ রবিবার অথবা ৩১ মার্চ রোজ সোমবার। অর্থাৎ রমজান ঊনত্রিশ দিন
হলে ঈদুল ফিতর পালন করা হবে ৩০ মার্চ এবং রমজান ৩০ দিন হলে ঈদুল ফিতর পালন
করা হবে ৩১ মার্চ। এটি মূলত নির্ভর করবে চাঁদ দেখার উপর।
লেখকের মন্তব্যঃ ২০২৫ সালের রমজানের ক্যালেন্ডার ও রমজানের সময়সূচী
২০২৫ সালের রমজানের ক্যালেন্ডার ও রমজানের সময়সূচী এখানে উপস্থাপন করার
আপনি খুব সহজে দেখতে পারবেন ইফতার সেহরীর সময়। রমজান একটি পাক পবিত্রের
মাস এই মাসে আমাদের সবার উচিত আল্লাহর একত্ব এবাদত বন্দেগীতে মশগুল থাকা।
বেশি বেশি করে আল্লাহর ইবাদত করা ও নিজেদের সকল গুনাহ খাতা এই সুযোগে ক্ষমা
চাওয়া।এ রমজান মাস মূলত আল্লাহ মুক্ত হস্তে সবার গুনা খাতা মাফ করে থাকে।
এ সময় প্রতিটা ভালো কাজের জন্য সওয়াব দিগুন করে দিয়েছেন আল্লাহ তায়ালা।
আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি ২০২৫ সালের রমজানের ক্যালেন্ডার ও এর
সময়সূচি, রোজা করার নিয়ত, কাজা রোজার নিয়ত, রোজার উপকার, রোজাদারের
পুরস্কার বিষয়ে জানতে পেরেছেন। আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে যদি আপনি উপকৃত
হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের জানার সুযোগ করে
দিন এমন আরো প্রয়োজনীয় তথ্যমূলক পোস্ট এবং অজানা তথ্য জানতে আমাদের
ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
শুরু থেকে শেষ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url