পেয়ারা পাতার ১৩ টি উপকারিতা ও অপকারিতা
পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনি কি জানেন? অনেকে শুধু পেয়ারা ফল সম্পর্কে জেনেছেন কিন্তু পেয়ারা পাতার ও যে ব্যবহার রয়েছে এবং এর উপকারিতা ও রয়েছে সেটি সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। আপনি জেনে অবাক হবেন পেয়ারার পাতার রয়েছে নানান উপকারিতা ও গুনাগুন।
পেয়ারা আমরা ফল হিসেবে চিনি এবং ফল হিসেবে খেয়ে থাকি। তবে পেয়ারা পাতাও যে খাওয়া যায় এবং এর খাওয়ার যে এত উপকারিতা রয়েছে সেটি কথা না বললেই নয়। পেয়ারা পাতা খেলে সর্দি-কাশির মত রোগ থেকে রক্ষা করে এমনকি ডেঙ্গুর মত প্রাণঘাতী রোগের নিরাময় করতে পারে।
পেজ সূচিপত্রঃপেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে
- পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- খালি পেটে পেয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা
- পেয়ারা পাতার রসের উপকারিতা
- পেয়ারা পাতা খাওয়ার নিয়ম
- পেয়ারা পাতা দিয়ে রূপচর্চা
- রাতে পেয়ারা খেলে কি হয়
- পেয়ারা খেলে কি গ্যাস হয়
- পেয়ারা খেলে কি ওজন বাড়ে
- পেয়ারা খাওয়ার অপকারিতা
- লেখকের মন্তব্য পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
পেয়ারা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানে না। পেয়ারা পাতার রয়েছে নানান ঔষধি গুনাগুন। আপনি পেয়ারা পাতা ব্যবহার করে মুক্তি পেতে পারেন নানান সমস্যা থেকে। পেয়ারা পাতা খাওয়ার ফলে দূর হতে পারে আপনার শরীর থেকে নানান জটিল রোগ বালাই। পেয়ারা পাতা আপনার খাবারের তালিকায় যুক্ত করলে এনে দিতে পারে রোগমুক্ত জীবন।প্রাচীন কাল থেকে পেয়ারা পাতা ব্যবহৃত হয় বিভিন্ন রোগ সারানোর ক্ষেত্রে। বলা যেতে পারে এটি এক ধরনের প্রাকৃতিক ঔষধি।চলুন তাহলে জেনে নিন পেয়ারা পাতা ব্যবহার করে আপনি কি কি উপকারিতা পেতে পারেন।
- ওজন কমায়ঃ পেয়ারা ফল যেমন আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে ঠিক তেমনি পেয়ারা পাতাও আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি দূর করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। পেয়ারা পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার দেহের মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয় এবং দ্রুত মেদ কমাতে সাহায্য করেন। এছাড়াও পেয়ারা পাতা খাওয়ার ফলে এটি আপনার কিরে কমিয়ে দেয় যার ফলে খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকটা কমে যায়। এতে পেট পুরে খাবার প্রবণতা থাকে না ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কাও থাকে না।
- হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ অনেকের পেটে ব্যথা, গ্যাস, এসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যার ক্ষেত্রে আপনি ব্যবহার করতে পারেন পেয়ারা পাতা। পেয়ারা পাতাতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনার হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এইজন্য আপনি সকালে এক কাপ পরিমাণ পেয়ারা পাতার চা তৈরি করে খেতে পারেন এটা আপনার হজমের সমস্যা দ্রুত কমে আসবে।
- পেট পরিষ্কার করেঃ কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা অনেকের হয়ে থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি পেয়ারা পাতা খেতে পারেন। পেয়ারা পাতার বিদ্যমান ল্যাক্সেটিভ উপাদান আপনার পেট পরিষ্কার রাখার কাজ করে। তাই আপনি পেয়ারা পাতা নিয়মিত খেতে পারেন। এর সঙ্গে অবশ্যই দিনে ৩ লিটার পর্যন্ত পানি পান করা খুবই প্রয়োজন কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের জন্য।
- কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করেঃ কোলেস্টেরল বা ব্লাড সুগার খুব জটিল একটি রোগ বলা যেতে পারে। এই ওষুধটি আপনাকে ভিতর থেকে অসুস্থ করে তোলে। আপনার শরীরে পুষ্টি উপাদান গুলোকে নষ্ট করে দেয়। ফলে আপনি অপুষ্টি এবং কাজ করার ক্ষমতা ও দৈহিক শক্তি হারিয়ে ফেলেন ধীরে ধীরে। তাই এই কোলেস্ট্রল ও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে আপনি পেয়ারা পাতা খেতে পারেন। পেয়ারা পাতা আপনাকে সাহায্য করবে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল তৈরির হাত থেকে। এটি আপনার শরীরে ইনসুলিন রেজিস্টেন্স কমায় যা সুগারকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে আপনার স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কিডনির অসুখ, স্নায়ুর অসুখ, চোখে অসুখ বিভিন্ন ভয়াবহ অসুখ থেকে রক্ষা করবে।
- মাড়ির ব্যথা দূর করেঃ পেয়ারা পাতা মাড়ির ব্যথা দূর করতে খুবই কার্যকরী। বাড়িতে কোন রকমের ব্যাথা অথবা সমস্যা দেখা দিলে আপনি পেয়ারা পাতা লবঙ্গ ও শিলা লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে পিসে আপনার বাড়িতে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এরপর হালকা কুসুম গরম পানি নিয়ে গার্গল করুন। এটি আপনার মাড়ির সমস্যা শুধু দূর করে না এটি আপনার মুখে দুর্গন্ধ কমাতেও সাহায্য করে।
- ডায়রিয়ার সমস্যায় উপশমঃ ডায়রিয়া সমস্যা দেখা দিলে মানুষের শরীর অনেক দুর্বল ও দৈহিক শক্তি হারিয়ে ফেলে। এই সময় আপনি পেয়ারা পাতা পানিতে ঢেলে নিয়ে চালের আটা যোগ করে সিদ্ধ করে সেই পানি ফিল্টার করে পান করলে এটি আপনার ডায়রিয়ার সমস্যা অনেক উপকার দিবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে পেয়ারা পাতার নির্যাস জারিয়া দূর করতে খুবই কার্যকরী। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া যেমন ই কলি ডায়রিয়ার সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। কিন্তু পেয়ারা পাতা এই সমস্ত ব্যাকের গুলোকে দূর করে ডায়রিয়ার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে। পেয়ারা পাতায় উপস্থিত এন্টি হেলমিন্থিক বৈশিষ্ট্য পেটের সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা দূর করে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ পেয়ারা পাতা নানা উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পেয়ারা পাতার ক্বাথ খেলে পাকিস্তানেও ফুসফুসের ক্যান্সারের সমস্যা দূর হয়। পেয়ারা পাতা খেলে ক্যান্সার রোগীদের ডিএনএ এবং অন্যান্য কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার থেকে রক্ষা করা যায়।
- ব্রাঙ্কইটিস রোধ করেঃ ব্রাঙ্কইটিস এর জন্য পেয়ারা পাতা খেতে পারেন। ব্রাঙ্কইটিসে শ্বাসনালীতে জ্বালাপোড়া ও ফোলা ভাবে সমস্যা দেখা দেয়। পেয়ারা পাতায় বিদ্যমান এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য গুলো আপনার কাশি ছত্রাক জনিত রোগের পাশাপাশি হাঁপানি রোগ থেকে রক্ষা করে। পেয়ারা পাতা পান করলে কাশি সমস্যা থেকে উপশম পাওয়া যায়।
- ক্ষত সারাতে সাহায্য করেঃ পেয়ারা পাতায় বিদ্যমান অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য ক্ষত ও ত্বকের সংক্রমণ রোধ করে ব্যাকটেরিয়ার দূর করে। পেয়ারা পাতা বিদ্যমান ঔষধি গুণ দ্রুত ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করে।
- স্পার্ম কাউন্ট করতে সাহায্য করেঃ পেয়ারা পাতা স্পার্ম কাউন্ট করতে খুবই সাহায্য করে। তেরা পাতা উর্বরতা বৃদ্ধি ও সক্ষম বলে ধরা হয়। তেরা পাতায় উপস্থিত এন্টিঅক্সিডেন্টের কারনে এটি শুক্রাণুর বিষাক্ততার ওপর প্রভাব সৃষ্টি করে।
- চুলকানি দূর করেঃ চুলকানি সাধারণত ত্বকের সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। পেয়ারা পাতা ত্বকের সংক্রমণ দূর করতে খুবই কার্যকরী যে কারণে সংক্রমণ প্রতিরোধ করে ত্বককে চুলকানির হাত থেকে রক্ষা করে। তাই আপনি পেয়ারা পাতা পেস্ট তৈরি করে আপনার ত্বকে লাগাতে পারেন এতে চুলকানি থেকে উপশম পাবেন।
- দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ কাঁচা পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ। যা আমাদের চোখের কর্নিয়াকে সুস্থ রাখে। ফলে আমাদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে নিয়মিত পেয়ারা খেতে পারেন।
- পিরিয়ডের ব্যথা কমায়ঃ পিরিয়ডের ব্যথা দূর করতে আপনি ওষুধের পরিবর্তে পেয়ারা পাতা চিবিয়ে রস করে খেতে পারেন এতে দ্রুত ব্যথা থেকে উপশম পাবেন।
পেয়ারা পাতার অপকারিতা
- পেয়ারা পাতার হাইপোগ্লাইসেমিক রয়েছে যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এটি অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে অতিরিক্ত মাত্রায় আপনার শরীরের রক্তচাপ কমিয়ে দেয়।এটা আপনার শরীর অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
- গর্ভবতীদের জন্য পেয়ারা পাতা খাওয়া পূর্বে অবশ্যই একটি অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে তার পর খেতে হবে।
- যাদের সর্দি কাশির সমস্যা রয়েছে তারা বেশি পরিমাণে পেয়ারা খাওয়া বা পেয়ারা পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে পরিমাণ মতো গ্রহণ করতে হবে পেয়ারা এবং পেয়ারার পাতা।
- আপনি যদি কোন গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে আপনাকে পেয়ারা খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং পরিমাণ মতো এটি গ্রহণ করতে হবে।
- আপনার শরীরে যদি একদম গুরুতরভাবে হয়ে থাকে তবে এটি ব্যবহারে অনেক সময় জ্বালাপোড়া হতে পারে আপনার ত্বকে তাই এটি ব্যবহারের সময় সাবধানতার সঙ্গে ব্যবহার করুন।
- অতিরিক্ত মাত্রায় পেয়ারা খেলে পেট খারাপ হতে পারে।
- বেশি মাত্রায় পেয়ারা খেলে পেট ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দেয়। পেয়ারা দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে চিনি বা ফুটোস থাকায় এটি আমাদের শরীরে হজম হতে ও শোষণ হতে সমস্যা হয় যার কারণে পেটে ফোলা ভাব বা গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে।
খালি পেটে পেয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা
পেয়ারা পাতার রসের উপকারিতা
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
- হার্টের সমস্যা দূর করে
- মাসিকের ব্যথা কমায়
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
- ওজন কমাতে সাহায্য করে
- ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
- ডায়রিয়া বন্ধ করে
- ট্রেস কমায়
পেয়ারা পাতা খাওয়ার নিয়ম
পেয়ারা পাতার উপকার পাওয়ার জন্য আপনি পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন রস করে খেতে পারেন কোন খাবারের সাথে মিশেও খেতে পারেন। পেয়ারা পাতার রস করে খাওয়ার জন্য প্রথমে পেয়ারা পাতা গুলো নিয়ে সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে রস তৈরি করে সেটি আপনি খালি পেটে খেতে পারেন। পেয়ারা পাতার রস খালি পেটে খাওয়ার ফলে আপনার শরীর অতিরিক্ত চর্বির মেদ এগুলো কমে যাবে। এটি আপনার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে। পেয়ারা পাতা চিবিয়েও খেতে পারেন এতে আপনার একই উপকার হবে। পেয়ারা পাতা এমন কি আপনি কোন ক্ষত জায়গায় লাগিয়ে রাখতে পারেন সে ক্ষেত্রে পেয়ারা পাতা নিয়ে সেটি থেতলে বা পিষে পেস্ট তৈরি করে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখতে পারেন এতে আপনার ক্ষতস্থানের সংক্রমণ হবে না কোন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে এবং ক্ষতস্থান দ্রুত সারতে শুরু করবে। আপনি পেয়ারা পাতার চা তৈরি করেও খেতে পারেন ।
পেয়ারা পাতা দিয়ে রূপচর্চা
আপনি এতক্ষণ পেয়ারা পাতা খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জেনেছেন। পেয়ারা পাতা পেটের জন্য দাঁতের জন্য কতটা উপকারী সে সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। তবে পেয়ারা পাতা যে শুধু পেটের সমস্যা ডায়াবেটিসের সমস্যা বিভিন্ন রোগব্যাধি সারাতে শুধু সাহায্য করে তা কিন্তু নয় পেয়ারা পাতা রূপচর্চার কাজক দারুণ উপকারী। পেয়ারা পাতা ব্যবহৃত হয়ে থাকে ত্বকের যত্নে ত্বকের দেখাশোনা ত্বকে ভালো রাখতে। পেয়ারা পাতা বিদ্যমান ভিটামিন সি পটাশিয়াম ও ফলিক এসিডের কারণে পেয়ারা পাতা ত্বকের না না সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য পাঁচ চামচ পানি ২ চামচ লেবুর রস ও এর সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। দুই চামচ পেয়ারা পাতা বাটা নিয়ে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে আধাঘণ্টার মতো এটি মুখে লাগিয়ে রাখুন। এটি শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠাণ্ডা পানিতে ভালোভাবে আপনার মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটা আপনার টকের অতিরিক্ত তেল দূর হবে এবং ত্বককে পরিষ্কার রাখবে।
- ব্রণ ও ব্ল্যাকহেডস দূর করতে এক মুঠো পেয়ারা পাতা ৫ চামচ পানি এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো এক চামচ এলোভেরা জেল একসঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এরপর এটিএম আপনার মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এটা শুকিয়ে যাওয়ার পর আপনার মুখটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনি এটি সপ্তাহের দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য।
- ত্বকের জ্বালা ভাব দূর করতে আপনি এক মুঠো পেয়ারা পাতা ও এক কাপ পানি নিয়ে চুলায় দশ মিনিট ফোটান। এরপর চোরাব বন্ধ করে নিয়ে পাতাগুলো ছেঁকে সরিয়ে পানিগুলো একটি পাত্রে রেখে ঠান্ডা করতে দিন। তাই ঠান্ডা হয়ে গেলে একটি স্প্রে বোতলে বা তুলোর সাহায্যে আপনার পুরো মুখে এই পানিটি ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। মশা কামড়ালে বা জ্বালা ভাব হলে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনি তাৎক্ষণিক উপশম পেতে পারেন।
- বার্ধক্য প্রতিরোধে পেয়ারা পাতার টনিক হিসেবে আপনার ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। পেয়ারা পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকে ফ্রি রেডিকেল থেকে রক্ষা করে যা আপনার তোকে অকালে বলিরেখার সৃষ্টি করে। পেয়ারা পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি যা ত্বকের পার্থক্য দূর করতে সাহায্য করে।
- চুল পড়ার সমস্যা থাকলে পেয়ারা পাতা আপনার চুল গজাতে ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য প্রথমে পেয়ারা পাতার ক্বাথ তৈরি করে তারপর ব্যবহার করতে হবে।
শুরু থেকে শেষ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url