থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয় ১০ টি উপকারিতা

থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয় জানেন? থানকুনি পাতা মুখে ব্যবহারের রয়েছে বিশেষ উপকারিতা। থানকুনি পাতা ত্বক ও চুলের যত্নের জন্য এবং বিভিন্ন রোগ সারাতে ঔষধি হিসেবে কাজ করে থাকে।অনেকে আছে যারা থানকুনি পাতা চেনে কিন্তু এর ব্যবহার জানে না। তাই থানকুনি পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন।
ত্বক ও চুলের যত্নে থানকুনি পাতার ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসছে। এটি একটি ভেষজ ঔষধি গুন সম্পূর্ণ গাছ। এটির রস চুলের ব্যবহারে রয়েছে যেমন নানা উপকার একই সাথে ত্বকেও এর ব্যবহারে মুক্তি পেতে পারেন আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা থেকে। 

পেজ সূচিপত্রঃ থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয় বিস্তারিত জানুন

থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয়

থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয় এমন প্রশ্ন অনেকেরই থাকতে পারে। থানকুনি পাতা অতিপরিচিতএকটি পাতা। থানকুনি গাছ সাধারণত পুকুর পাড়ে, রাস্তার পাশে, ঝোপ-ঝাড়ে, জঙ্গলে জন্মে থাকে। এটি একটি ও সুধী গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ যেটি নানা কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।থানকুনি পাতার ঔষধি গুন থাকায় এটি যে শুধু রোগ সারাতে ব্যবহৃত হয় তা কিন্তু নয় এটি রূপচর্চার কাজেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।এ পাতার মুখে ব্যবহারের রয়েছে নানান উপকারিতা। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক থানকুনি পাতা মুখে ব্যবহার করলে কি হয় এবং এটি ত্বকে কি কি কাজ করে থাকে।
  • মুখের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। 
  • ত্বকের জেলা বা উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের ক্ষতস্থান সারাতে সাহায্য করে।
  • চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে।
  • কুঁচকে যাওয়া ত্বক ঠিক করতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব দূর করে। 
  • ত্বকে কোমল করতে সাহায্য করে। 
  • ত্বককে সতেজ করে রাখতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • ত্বকের বিভিন্ন দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

থানকুনি পাতা খেলে ফর্সা হয়

আপনার ত্বকে যদি বিভিন্ন দাগ থেকে থাকে এবং সে দাগ দূর করে ত্বককে ফর্সা করতে চান তাহলে আপনি অনায়াসে থানকুনি পাতা খেতে পারেন। থানকুনি পাতার মধ্যে এমন উপাদান রয়েছে যেগুলো আপনার ত্বকের দাগ দূর করবে এবং আপনার ত্বকে করে ফর্সা উজ্জ্বল লাবণ্যময়। ত্বকের কালচে ভাব ত্বকের ভিতরে রাফনেস দূর করবে থানকুনি পাতা। তোকে ফর্সা করার জন্য আপনি প্রতিদিন এক গ্লাস দুধে পাঁচ থেকে ছয় চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেতে পারেন। থানকুনি পাতার ভিতরে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

থানকুনি পাতার উপকারিতা

থানকুনি পাতার ব্যবহার রয়েছে নানান ক্ষেত্রে। শুধু যে রান্না করে খাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় তা কিন্তু নয় এটি রোগ সারাতে ব্যবহৃত হয় । এই বিশেষ পাতার রয়েছে বহু ভেষজ গুণ। বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ক্ষেত্রে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে থানকুনি ব্যবহার করে হতে পারে উপকৃত। মুক্তি পেতে পারেন সাময়িক সমস্যা থেকে।এ ভেষজ উদ্ভিদ ঠিক কোন কোন সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন আপনি এই বিষয়ে জানা থাকলে খুব সহজে সে সমস্ত সমস্যা দেখা দিলে ব্যবহার করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেই ঠিক কি কি সমস্যার ক্ষেত্রে উপকারে আসতে পারে এই থানকুনি পাতা।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতেঃডায়াবেটিস রোগীদের জন্য থানকুনি পাতা একটি মহা ঔষধি বলা যেতে পারে। এ পাতার রস ডায়াবেটিস রোগীদের দিনে দুইবার করে সেবন করলে রক্তে সরকারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
  • হজম শক্তির বৃদ্ধি করতেঃথানকুনি পাতা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। থানকুনি পাতার বেশ কিছু উপাদান হজমের সহায়ক এসিড এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এর ফলে হজমের অনেক সমস্যার দূর হয়ে যায়।
  • ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতেঃ থানকুনি পাতার এমাইনো এসিড বিটা ক্যারোটিনএবং ফাইটো ক্যামিক্যাল ত্বকের পুষ্টির ঘাটতি দূর করে এবং বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। 
  • জ্বরের আশঙ্কা কমায়ঃ অনেক সময় আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে অথবা ঠাণ্ডা সর্দি জনিত কারণে জ্বরের সমস্যা হয় এ থাকে অনেকের। সে ক্ষেত্রে নিয়মিত থানকুনি পাতার রস ও শিউলি পাতার রস খালি পেটে এক চামচ করে মিশিয়ে খেলে জ্বরের আশঙ্কা কমে যায়।
  • কাশি কমাতে সাহায্য করেঃ থানকুনি পাতার রস সেবনে কাশি সমস্যা কমে যায়। এজন্য থানকুনি পাতার রস দু চামচ করে নিয়ে তার ভেতরে সামান্য পরিমাণ চিনি মিশিয়ে খেলে এটি কাশি কমাতে সাহায্য করে। ভালো ফলাফলের জন্য এটি টানা এক সপ্তাহ খেলে কাশি পুরোপুরি দূর হয়ে যাবে।
  • গ্যাস্টিকের সমস্যা দূর করেঃ গ্যাসের সমস্যায় থানকুনি পাতার ব্যবহার খুবই কার্যকরী। আধা লিটার দুধে ২৫০ গ্রাম মিছরি এবং অল্প পরিমানে থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে তার রোজ সকালে অল্প অল্প করে খেলে খুব দ্রুত গ্যাস্টিকের সমস্যা কমে যাবে। থানকুনি পাতার এই ঘরোয়া চিকিৎসাটা ভীষণ কাজের।

থানকুনি পাতা খেলে কি হয়

থানকুনি পাতা শরীরে নানা সমস্যা দূর করতে পারে। এটা আপনার মানসিক নানা সমস্যা দূর করে। মানসিক অবসাদ দূর করে মানুষ হোক আমার সাথে ঘুরলে তার দূর করার জন্য কার্যকর ভেষজ হল থানকুনি পাতার রস। থানকুনি ড্রেস হরমোন এর ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে ফলে মানুষের চাপ অস্থিরতা, প্রশমিত হয়। ঘুম না আসার সমস্যা রয়েছে যা দিয়ে তারা তার কোন পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার স্নায়ু শিথিল থাকবে দারুন ঘুম আসবে। নিয়মিত থানকুনি পাতা রস খেলে এর ভেতরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পেনটাস সাইক্লিক রিটায়ার পেন্টা সাইক্লিক নামের একটি উপাদান বাড়তে শুরু করে ফলে ব্রেন সেল চমৎকারভাবে কাজ করে। এটি স্থিতিশক্তি প্রখর হয়।


চুলের জন্য থানকুনি পাতার উপকারিতা

থানকুনি পাতা ত্বকের সাথে সাথে চুলেরও নারায়ণ সমস্যা দূর করে। থানকুনি পাতা চুলে ব্যবহারের ফলে চুল পড়া, চুল উঠে যাওয়া, চুলের আগা ফেটে যাওয়া এরকম নানান সমস্যা সমাধান করে থাকে। মূলত থানকুনি পাতা অতি পরিচিত একটি পাতা যা আমাদের আশেপাশে বিভিন্ন আনাচে-কানাচে জঙ্গলে এমনকি বাড়ির পাশে জন্মে থাকে। তাই এটি আপনি খুব সহজেই সংগ্রহ করতে পারেন এবং এটি ব্যবহার করতে পারেন আপনার চুলকে সুন্দর করতে।চলুন তাহলে জেনে নিন থানকুনি পাতা আপনার চুলের ঠিক কি কি উপকার করতে পারে।
  • থানকুনি পাতা স্ক্যাল্পে  ব্যবহারের কারণে আপনার স্ক্যাল্পের তৈলাক্ত ভাব নিয়ন্ত্রণ করে।
  • থানকুনির এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান স্ক্যাল্পের প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। 
  • থানকুনি পাতা নিয়মিত স্ক্যাল্পে ব্যবহার করলে আপনার স্ক্যাল্পের সংক্রমণ কমে যাবে।
  • থানকুনি পাতা ব্যবহার করলে আপনার চুলের গোড়া মজবুত হবে।
  • থানকুনি পাতা আপনার চুলকে ঘন করতে সাহায্য করবে।
  • থানকুনি পাতা আপনার নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।
  • থানকুনি ব্যবহারে আপনার মাথার স্ক্যাল্প কে পরিষ্কার রাখবে এবং খুশকির সমস্যা দূর করবে।
  • চুলকে অতি বেগুনি ক্ষতিকারক রশ্নির থেকে রক্ষা করতে থানকুনি পাতা ব্যবহার করতে পারেন এতে সূর্যের আলোর কারণে আপনার চুলের কোন ক্ষতি হবে না। 

থানকুনি পাতা চুলে দেওয়ার নিয়ম

থানকুনি পাতা চুলে দিলে কি হয় এবং ত্বকে ব্যবহার করলে কি হয় সে সমস্ত কিছু সম্পর্কিত জানতে পেরেছেন তবে এবার জেনে নিন থানকুনি পাতা কিভাবে ব্যবহার করবেন। কোন জিনিস কি কাজে ব্যবহৃত হতে পারে এ বিষয়ে জানা থাকলেও কি উপায় কি নিয়মে ব্যবহার করতে হবে সেটি না জানা থাকলে সে জিনিস ব্যবহার করলে কখনোই ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না।তাই আপনি যদি থানকুনি পাতা চুলে ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পেতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে না হলে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন না।আপনি আপনার চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য থানকুনি পাতার রস সরাসরি চুলে এপ্লাই করতে পারেন। 

তবে এক্ষেত্রে চুল পরিষ্কার থাকতে হবে।অর্থাৎ শ্যাম্পু করা পরিষ্কার চুলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে থানকুনির পাতার রস ব্যবহার করলে। এর কারণ হলো আমাদের স্কাল্পের চুলের গোড়ায় বিভিন্ন সময় ময়লা আটকে থাকে যার কারণে সম্পূর্ণ রস বা পুষ্টিগুণ আমাদের চুলের গোড়ায় পৌঁছতে পারেনা। আধা ঘন্টা কিংবা এক ঘন্টা রাখার চেষ্টা করবেন থানকুনি পাতার রস অথবা ব্যাক ব্যবহার করলে। থানকুনি পাতার ব্যবহারের সময় এর পুষ্টিগুণ যদি বাড়াতে চান তাহলে এর সাথে আপনি অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে আপনার চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহারের পর অবশ্যই আপনার চুলকে শ্যাম্পু করে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

পেটের সমস্যায় থানকুনি পাতা

প্রাচীনকাল থেকে থানকুনি পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে বিভিন্ন রোগ সারানোর ক্ষেত্রে। এরমধ্যে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে পেটের সমস্যা দূর করতে। থানকুনি পাতা প্রায় সময় বড় বায়োজ্যেষ্ঠরা পেটের সমস্যা দেখা দিলে খাওয়ার উপদেশ দিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয় চিকিৎসা বিদ্যার ক্ষেত্রেও দেখা গিয়েছে থানকুনি পাতার গুনগান। বিভিন্ন ঔষধ তৈরির ক্ষেত্রে থানকুনি পাতার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।থানকুনি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে কমবেশি সবারই জানা আছে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে জনপ্রিয় একটি ঔষধি উদ্ভিদ।
  • পেটের সমস্যা যেমন ডায়রিয়াজনিত অসুস্থতার ক্ষেত্রে আপনি থানকুনি পাতার রস করে খেতে পারেন এতে অনেকটা উপকার পেতে পারেন। 
  • পেটে হজমের সমস্যা থাকলে ডানকুনি পাতার রস খেলে হজমের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। 
  •  পেটে আলসারের মতো সমস্যা থাকলে আপনি থানকুনি পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন এটি ঠান্ডা হওয়ায় ভিতরের জ্বালাপোড়া দূর করে এটি অনেকটা স্বস্তি প্রদান করে।
  • শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন বের করতে সাহায্য করে থানকুনি পাতা। থানকুনি পাতা লিভার ও কিডনিতে জমে থাকা টক্সিন এর প্রভাব ফেলে শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।

থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম

আপনার শরীর স্বাস্থ্য এবং ত্বক ও চুলের যত্নে থানকুনি পাতা ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন সকালে উঠে কয়েকটি থানকুনি পাতা নিয়ে পানি দিয়ে গিলে খেয়ে নিতে পারেন। কিংবা থানকুনি পাতার রস করে প্রতিদিন সেবন করতে পারেন। আবার থানকুনি পাতা কুচি কুচি করে ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন। এছাড়া আপনি থানকুনি পাতা রান্না করে খেতে পারেন। থানকুনি পাতা শাক হিসেবে রান্না করতে পারেন, এছাড়া থানকুনি পাতার চা বানিয়ে খেতে পারেন, থানকুনি পাতার বড়া বানিয়ে খেতে পারেন। যেভাবে খান না কেন থানকুনি পাতার উপকার পাবেন।তবে থানকুনি পাতা ধুয়ে কাঁচা অবস্থায় রস করে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। 

থানকুনি পাতার অপকারিতা

প্রতিটি জিনিসের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমন এর উপকারিতাও রয়েছে। ঠিক তেমনি থানকুনি পাতার যেমন উপকারিতা আছে এর কিছু বিপরীত দিক রয়েছে অর্থাৎ অপকারিতাও রয়েছে। থানকুনি পাতা যেহেতু একটি ঔষধি গুন সম্পূর্ণ ভেষজ উদ্ভিদ। তাই এটি ব্যবহারে আমাদেরকে সতর্কতা এবং সচেতনতা অবলম্বন করা প্রয়োজন রয়েছে। সতর্কতা এবং সচেতনতার সাথে যদি এটি ব্যবহার না করা হয় তবে হতে পারে হিতের বিপরীত। থানকুনি পাতা ব্যবহারের কিছু নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে না হলে হতে পারে মহাবিপদ। তো চলুন জেনে নিই থানকুনি পাতার ক্ষতিকর দিকগুলো।
  • থানকুনি পাতা যেমন পেটের ব্যথা দূর করে তেমনি প্রয়োজনের বেশি মাত্রা অতিরিক্ত খেলে পেটের ব্যথা বেড়ে যেতে পারে তাই পরিমাণ মতো খেতে হবে। 
  • প্রয়োজনের বেশি খেলে মাথা ঘোরাস ও নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • থানকুনি পাতা থেকে এলার্জি রয়েছে এমন ব্যাক্তি থানকুনি পাতা খাওয়ার থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • অপারেশন করেছেন এমন রোগী দের থানকুনি পাতা না খাওয়াই ভালো।
  • যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তা থানকুনি পাতা কোনভাবেই খাওয়া যাবেনা এতে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা যেতে পারে।
  • যাদের লো ব্লাড প্রেসার রয়েছে তাদের থানকুনি পাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

লেখকের মন্তব্যঃ থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয় সম্পর্কে

থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয় সম্পর্কে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার পর আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন থানকুনি পাতা আপনার ত্বকের জন্য চুলের জন্য এবং স্বাস্থ্যের জন্য ও ব্যবহার উপযোগী কি না। থানকুনি পাতার উপকারিতা গুলোর মধ্যে ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহার পেটের সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে থানকুনি পাতা কাচা অবস্থায় রস করে বা পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করে সব থেকে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এতে থানকুনি পাতার পোস্টটি গুনাগুন অক্ষুন্ন থাকে। থানকুনি পাতা যেহেতু ঔষধি উদ্ভিদ তাই এটি ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং উপরে উল্লেখিত ব্যবহারে নিয়মগুলো মেনে ব্যবহার করতে হবে। শরীরে কোন প্রকার জটিল সমস্যা থাকলে সেখানে থানকুনি পাতা সেবনের পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ জিজ্ঞাসা করার পরামর্শ নিতে হবে।
আজকের এ পোষ্টের মাধ্যমে আপনি থানকুনি পাতা মুখে দিলে কি হয় এর ব্যবহার, উপকারিতা, ব্যবহারের নিয়ম, সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদের জানার সুযোগ করে দেন।এমন আরো প্রয়োজনীয় তথ্যমূলক পোস্ট এবং অজানা তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

শুরু থেকে শেষ ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url